ডারবান: সাদা পোশাকে সারা বছর ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যেতে হলো। অবশেষে বিদায় জানালেন।
শচীন ও পন্টিংয়ের মতো বিশ্বসেরারা সম্মান নিয়েই বিদায় জানিয়েছেন ক্রিকেটকে। কিন্তু শেষ ম্যাচে তুলির শেষ আঁচড় সেভাবে লাগাতে পারেননি। অথচ ক্যালিস রাঙিয়ে দিলেন, মুগ্ধ করলেন ভক্তদের।
২০১২ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্থে ক্যারিয়ার শেষ ম্যাচ ও টেস্ট খেলেছিলেন পন্টিং। শেষ কয়েকটি দিন ম্লান হয়ে যেতে বসায় অবসর নিতে বাধ্য হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের ব্যাটে শেষ পাঁচ ইনিংসে এসেছিল ৩২ রান। আর শেষ ম্যাচে এসেছে ৪ ও ৮ রান। মাঠ থেকে বুক ফুলিয়ে ব্যাট উচু করে বিদায় নিতে খানিকটা বেধেছিল তার।
অন্যদিকে ওই বছরেই ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়া শচীন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেস্ট খেলা চালিযে যাওয়ার। প্রিয় ক্রিকেটকে বাই বাই বলার সঠিক সময়ও বেছে নিলেন তিনি। সাদা পোশাকে রীতিমতো লড়াই করতে থাকা এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রো দুশতম টেস্টের মাইলফলকে দাঁড়িয়ে আবারও চেনা রূপে ফিরলেন। কিন্তু ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল শেষ ম্যাচে আরেকটি শতকের দেখা যাওয়া যাবে তাদের ক্রিকেট ঈশ্বরের কাছে। সেটা পারেননি ব্যাটিং লিজেন্ড, তবে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ঘরের মাঠে আপ্লুত বিদায় নিলেন শচীন।
আর শেষ ম্যাচ খেলতে নামলেন সীমিত ভক্তদের কাছে সেরা খ্যাতি পাওয়া ক্যালিস। চাপের বোঝা হয়তো একটুও ছিল না ৩৮ বছর বয়সী তারকার। ডারবানের কিংসমিডে হাশিম আমলা সাজঘরে ফিরলে নামলেন ২২ গজে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতের খেলোয়াড়রাও গার্ড অব অনার দিতে পিছপা হলেন না। বিদায়বেলায় যা করা দরকার সেটাই করে দেখালেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
তৃতীয় দিন শেষ করার আগে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যালিস। রোববার চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই পেয়ে যান ৪৫তম টেস্ট শতক। রবিন্দ্র জাদেজাকে ডিপ মিড উইকেটে শট মেরে স্মরণীয় মুহূর্তের সৃষ্টি করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে এটি তার সপ্তম সেঞ্চুরি।
এখানেই থামেননি, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকাতেও এগিয়ে গেলেন কেপ টাউনের তারকা। ইনিংসে জাদেজার পঞ্চম শিকার হওয়ার আগে ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস রাহুল দ্রাবিড়কে টপকে গেছেন ক্যালিস। ৩১৬ বলে ১৩ চারে ১১৫ রান করলেন শেষ ইনিংসে। একই সঙ্গে এক রানের ব্যবধানে দ্রাবিড়কে ছাড়িয়ে তিন নম্বরে উঠে এলেন। টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলেন ১৩ হাজার ২৮৯ রানে। অসাধারণ বিদায় বুঝি একেই বলা চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর