মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে: স্বাধীনতার মাসের শেষ দিকে এসে একটি জয় অথবা টি-টোয়েন্টির চূড়ান্তপর্বে নিজেরে শেষ সময়ে ফিরে পাওয়ার লড়াই বা জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে ইতিবাচক ইতি টানা কোনটাই হল না মুশফিক বাহিনীর। টস জিতে পাকিস্তান যখন আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণের চিন্তা মাথার মধ্যে আসতে শুরু করবে এমন সময় সব পাল্টে দিলেন পাকিস্তানি ওপেনার আহম্মেদ শেহজাদ।
বাংলাদেশের বোলারদের খুন করার চিন্তা আর সাথে নিজেকে রানে ফেরাতে এবং পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসাবে ইতিহাসে নিজের নাম পাকাপক্ত করতে খুব বেশী কিছু কিন্তু করতে হয়নি। মাশরাফি ও জিয়াউরকে মেরে তক্তা বানিয়ে প্রথম পাকিস্তানি হিসাবে তিন ফরমেটেই শতকের মালিক হলেন তিনি। ৬২ বলে ৫ ছক্কা আর ১০ চারে ১১১ রান তারই স্মারক বহন করে। বাংলাদেশের ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকের একই কথা।
মুশফিক ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, আমাদের স্পিনারা ভাল বল করেছে। সাকিব, রাজ্জাক এবং রিয়াদও বেশ ভাল ভাবে ওদের আটকে রেখেছে। ১৬০-১৭০ এর মধ্যে আটকাতে পারলে আমাদের হয়তো জেতার সুযোগ থাকত। আসলে যখন দুই ওভারে ৪৫ মত রান হয়ে যায় ম্যাচে ফেরা সম্ভাবনা থাকে না। কোয়ালিফাইং রাউন্ড পার করে মূল পর্বে ভাল কিছু করার সুযোগ ছিল। তবে এখন শেষ ম্যাচ জিতে শেষ করতে চাই।
শেহজাদের ব্যাটিংয়ের উদাহরণ টেনে অধিনায়ক বলেন,‘আমরা ভাল খেলার জন্য সব রকম চেষ্টা করেছি। আজ সাকিবকে টপঅর্ডারে খেলালেও পরের কেউ উইকেটে বড় স্কোর করতে পারেনি। একটা সেট ব্যাটসম্যান কি রকম কাজে আসতে পারে এই ম্যাচ দেখলেই বুঝতে পারবেন। শেহজাদ অনেক ভাল খেলেছে। কাগজে কলমে আমরা এখনও টি-টোয়েন্টির জন্য এত ভাল দল নই। ’
পাওয়ার প্লেতে রানের ঘাটতির কথা বললেন মুশফিক,‘প্রথম ছয় ওভারে রান করা দরকার। কিন্তু আমাদের কোন পাওয়ার হিটিং ব্যাটসম্যান নেই। টিমে পরিবর্তন আনলে খুব একটা ভাল হবে তা কিন্তু নয়। কোন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া সমাধান নয়। এখন শেষটা জিতে শেষ করতে চাই। যত বেশী খেলোয়াড়েরা ফ্রি থাকতে পারে এটাই মঙ্গল। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ ২০১৪