চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের স্টেডিয়াম পাড়ার রেস্তোঁরা রোদেলা বিকেল, যেখানে বাহারি খাবারের সম্ভারে তৃপ্ত হন দেশ-বিদেশের মানুষ। রোদেলা বিকেলের বাহারি খাবারে এবার তৃপ্ত হয়েছেন রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা, মানে বাংলাদেশের অহংকার জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
রোববার (১৯ জুলাই) সামনের রেডিসন ব্লু থেকে বেরিয়ে টাইগাররা জড়ো হন রোদেলা বিকেলে। তাদের সামনে ধোঁয়া উঠা খিচুড়ি সঙ্গে চাঁদপুরের ইলিশ। ইলিশের গন্ধে মৌ মৌ পুরো রেস্তোঁরা। চোখ ঘোরাতেই টাইগাররা দেখতে পান তাদের সামনে চিংড়ি ভুনা, দেশি মুরগি, চিকেন গ্রিন কারি, বিফ কালো ভুনা, সাদাভাত, ডাল, আলু ভর্তা, কুলপি, ওবামা জুস, অরেঞ্জ জুস, বেগুন ভাজি, কপি আর স্পেশাল লাচ্ছি।
বাহারি খাবারের বাহারি স্বাদে এতটাই তৃপ্ত টাইগাররা, ভূয়সী প্রশংসায় মেতেছিলেন তারা। বিশেষত ইলিশ ফ্রাই, চিংড়ি ভুনা, কুলপি, চিকেন গ্রিন কারি, বিফ কালো ভুনার স্বাদ যেন ভুলতে পারছেন না ক্রিকেটারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২-১ ওয়ানডে সিরিজ জয়ে উৎফুল্ল খেলোয়াড়রা। ঈদের ছুটিতে অনেকে বাড়ি গেলেও চট্টগ্রামে ঈদ করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাশ, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। সঙ্গে আছে বিসিবির কর্মকর্তারাও।
রোববার ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক ফারুক আহমেদের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুপুরে রোদেলা বিকেলে খেলোয়াড় ও তাদের স্ত্রীদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান ও নির্বাচক ফারুক আহমেদের পরিবার।
রোদেলা বিকেলের প্রশংসা করে টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোদেলা বিকেলের খাবার বেশ টেস্টি। বিশেষ করে ইলিশ ফ্রাই খুব বেশি মজা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাবার গুলোতে রয়েছে অন্যরকম স্বাদ। খাবারগুলো যে কেউকে পাগল বানাবে। ’
আগামীতে আবার এ রেস্তোঁরাতে সময় কাটনোর আশা ব্যক্ত করেন জাতীয় দলের হয়ে ৪৬ টেস্ট খেলা মুশফিক।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা বোলার মুস্তাফিজও প্রশংসা করতে ভুললেন না রোদেলা বিকেলের। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোদেলা বিকেলের খাবার, এক কথায় ফাটাফাটি। ’
মুস্তাফিজ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিসিএল খেলার সময় রেস্তোঁরাটিতে খাবার খেয়েছিলাম। অনেকদিন পর আবার আজকে ফারুক ভাইয়ের সৌজন্যে দুপুরের খাবার খেলাম। ভাল লাগছে। রেস্তোঁরাটির খাবারের মানগুলো অনেক ভাল। আজকে ইলিশ ফ্রাই একটু বেশিই খেয়েছি। ’
জাতীয় দলের নির্বাচক ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রেঁস্তোরাটির কুলপি খুবই ভালো লেগেছে। বিভিন্ন জায়গায় খেয়েছি কিন্তু এখানে খাবারের স্বাদ অসাধারণ। আর পরিবেশটা খুব ভালো। কাঁচের স্বচ্ছ ছাদে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ। পাশে সবুজে মোড়ানো মাঠ। এখানে বসে অসাধারণ লাগছে পরিবেশটা। ’
দুপুরের খাবারের পর সকলে মিলে কেক কাটেন। আর আনন্দে মেতে উঠেন একে অপরের সঙ্গে ছবি তুলে।
রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক সাইনুল সাবের বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফ্রেশ এবং টেস্টি ফুড পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করি না। আবার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য শরীরের ক্ষতিকর টেস্টিং সল্টও ব্যবহার করি না। রেস্তোঁরাটির খাবারে যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তাও অবিশ্বাস্য। তবে সত্যি। ’
তিনি জানান, স্প্যানিশ অলিভ, কানাডার কোনোলা, মালয়েশিয়ার সানফ্লাওয়ার অয়েল, দুবাইয়ের নিডো গুঁড়ো দুধ ও লিপটন টি ব্যাগ, অস্ট্রেলিয়ার চিনি, সুইজারল্যান্ডের গোল্ড কফি, ইন্ডিয়ান কাশ্মিরি মরিচ, ভেজিটেবল ডালডা, বাসমতি চাল ও মশলা, স্পেনের জাফরান, কাপ্তাই লেকের মাছ, বাঁশখালীর দেশি মুরগী, কুষ্টিয়ার খাসি, মিরসরাইয়ের দেশী গরু, হাতিয়ার হাঁসসহ দেশী-বিদেশী সেরা উপাদানে তৈরি হয় এখানকার সুস্বাদু খাবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯,২০১৫
বিপি/টিসি/এমএমএস