ঢাকা: গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার তিনজন বোলার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকাভুক্ত হন। তাই আগামী বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসরে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
এসএলসি’র অবৈধ বোলিং অ্যাকশন কমিটির (আইবিএসি) চেয়ারম্যান ইসহাক সাহাবদিন এমনটিই নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ক্রিকেট তো বটেই, লঙ্কানদের হয়ে আন্তর্জাতিক হকিও খেলেছিলেন ইসহাক।
এক সাক্ষাৎকারে ইসহাক বলেন, ‘সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমাদের চারজন বোলারের মধ্যে তিনজনের বোলিং অ্যাকশনই সন্দেহের তালিকায় পড়ে। এটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। তাই আমরা পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য ক্রুটিমুক্ত বোলিং সাইড নিশ্চিত করতে চাই। ’
বোলিংয়ে ক্রটি থাকলে কাউকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ইসহাক। তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে সন্দেহভাজন সাতজন বোলারকে চেন্নাইয়ের আইসিসি স্বীকৃত বোলিং পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ’
উল্লেখ্য, লঙ্কান ক্রিকেটে সর্বশেষ বোলার হিসেবে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন সাচিত্রা সেনানায়েকে। গত বছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পরের মাসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা পান। অবশ্য, ডিসেম্বরে বল হাতে মুক্ত হয়ে ইংলিশদের বিপক্ষেই তার প্রত্যাবর্তন ঘটে। ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে লঙ্কান দলে ছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী এ অফস্পিনার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
আরএম