ঢাকা, বুধবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

ক্রিকেট

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ

প্রথম লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
প্রথম লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড টপকানো। এরপর ধীরে ধীরে কোয়ার্টার, সেমি খেলে ফাইনালে যেতে চায় বাংলাদেশ।



মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন পরিকল্পনার কথা জানালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর রেডিসন ব্লু ’তে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশ দলনায়ক।  

আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রথমদিনে নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।

এ বিষ‍য়ে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির সবকিছু ঠিকঠাকমতো হয়েছে। সর্বশেষ সিরিজগুলোতেও আমরা দূর্দান্ত খেলেছি। কোচিং স্টাফরা বিশ্বকাপে আমাদের কৌশল অনুযায়ী খেলতে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা নরমাল ক্রিকেট খেলতে চাই। এখন শুধু ক্রিকেটকে এনজয় করতে চাই। ’

বিশ্বকাপকে বাড়তি চাপ হিসেবে নিতে নারাজ মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ক্রিকেট অনেক চাপের খেলা। খেলায় ক্রিকেটারদের ওপর কোচ, পরিবার কিংবা দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ থাকবে। ওসব চাপ নিয়েই ক্রিকেট খেলতে হয় আমাদের। তাই আশা করছি বিশ্বকাপ আমাদের জন্য বাড়তি চাপ হবে না। ’

সর্বশেষ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে প্রথমদিকে দারুণ খেলেও পরে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। তাই এবার বাড়তি সতর্ক স্বাগতিকরা।

মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘দ্বি-জাতীয় সিরিজে প্রথম এক ম্যাচ হারলে পরবর্তী ম্যাচে কামব্যাক করার সুযোগ থাকে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেই সুযোগ নেই। এক ম্যাচ খারাপ করলেই সব শেষ। গত বিশ্বকাপে আমাদের কিছু ভুল ছিল। এবার সেই ভুলগুলো যাতে আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছি। ’

সরাসরি ফাইনালে যেতে চাই- এটা না বললেও, আকারে ইঙ্গিতে বিশ্বকাপ জয়ই যে বাংলাদেশের লক্ষ্য তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। ক্ষণে ক্ষণে চোখ রাখছিলেন টেবিলের ওপর রাখা বিশ্বকাপ ট্রফির দিকে। কয়েকবার ট্রফিটা ছুঁয়েও দেখলেন তিনি।

মিরাজ বলেন, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। তাই সবার আশা আকাঙ্ক্ষাও অনেক বেশি। আমরাও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু আমাদের পক্ষে আছে। ন্যাচারাল ক্রিকেট খেললে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কঠিন হবে না। ’

দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশেষ করে স্পিন বিভাগ নিয়ে। তিনি বলেন, দলে চারজন খুব ভালো স্পিনার রয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের ব্যাটিং লাইনআপও অনেক শক্তিশালী। দলের ১০ থেকে ১১জন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছে। তাই প্রায় সবাই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

উপমহাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। তাই এ উপমহাদেশের দলগুলোকেই কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবছে বাংলাদেশ। মিরাজের ভাষায়, উপমহাদেশে কন্ডিশনে ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান বাড়তি সুবিধা পাবে। তারাই আমাদের জন্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।

এর আগে সকালে অনুশীলন করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন দলের বোলিং ভরসা সালেহ আহমদ শাওন গাজী। তবে তিনি একদিনের মধ্যেই মাঠে ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিশ্বকাপ হাতে ক্যামেরাবন্দী হন বাংলাদেশ দলনেতা। রেডিসন ব্লু’র ভেতরে রয়েছে একটু খোলা জায়গা। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে পাথরের স্তুপ। সেই স্তুপের ওপর ‘দাঁড়িয়ে’ আছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সাম্পান। সাম্পানের পাশেই হাসিমুখে বিশ্বকাপ হাতে বাংলাদেশ দলের জুনিয়র মাশরাফি।

মিরাজের মুখের এ চওড়া হাসি যেন শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে এমনটি প্রত্যাশা দেশের ১৬ কোটি মানুষের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।