ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গিলক্রিস্টদের হারিয়ে ফাইনালে শেবাগের জেমিনি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
গিলক্রিস্টদের হারিয়ে ফাইনালে শেবাগের জেমিনি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফিল মাস্টার্ডের বিস্ফোরক ইনিংসে জয়ের কাছাকাছিই চলে গিয়েছিল সাগিত্তারিয়াস স্ট্রাইকার্স। কিন্তু, শেষদিকে ঝমে উঠা ম্যাচটি ১০ রানে জিতে মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগের (এমসিএল) ফাইনাল নিশ্চিত করেন শেবাগ-সাঙ্গাকারারা।



দুবাই আন্তার্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের ১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জেমিনি এরাবিয়ান্স। এমসিএলে দারুণ ফর্মে থাকা বীরেন্দর শেবাগ ও কুমার সাঙ্গাকারা সেমিফাইনাল ম্যাচেও জ্বলে ওঠেন। ঝড়ো ইনিংসে দু’জনই অর্ধশতক পূরণ করেন। ১৭ রানের জন্য শতক মিস করেন শেবাগ।

ফাইনাল ওঠার লক্ষ্যের কাছাকাছি গিয়ে হতাশায় ডোবে স্ট্রাইকার্স। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১৮১। যদিও শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা শেবাগদের হাতেই ছিল। কিন্তু, মাস্টার্ড ক্রিজে আসতেই দৃশ্যপটে পরিবর্তন। সাবেক এ ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল স্ট্রাইকার্স।

কিন্তু, শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য যখন ২১ রান প্রয়োজন তখন তিন বল ভাগে পেয়েও মাত্র চার রান করেন মাস্টার্ড। রানা নাভেদ উল হাসানের অপর তিন বলে ছয় রান করেন অপরাজিত থাকেন ভেট্টোরি। এরই সুবাদে ১০ রানের জয়ে শিরোপা জয়ের মিশনে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায় এরাবিয়ান্স।

মাস্টার্ডের আগে ৬৫ রানের (৫২ বল) কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মাত্র ১২ রান সাজঘরে ফেরেন। ইয়াসির হামিদের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।

এরাবিয়ান্সের হয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন সাবেক ইংলিশ পেসার গ্রাহাম অনিয়ন্স। মুত্তিয়া মুরালিধরন দু’টি ও বাকি উইকেটটি নেন কাইল মিলস।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা জেমিনি পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায়। পঞ্চাশ বলে ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শেবাগ। সাঙ্গাকারাও (৪৩ বলে ৬২) দ্রুতগতিতে রান তুলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। এছাড়া ওপেনার রিচার্ড লেভি ও ব্র্যাড হজ দু’জনই ১৩ রান করে আউট হন।

স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ক্যারিবিয়ান টিনো বেস্ট। একটি করে উইকেট লাভ করেন ভেট্টোরি ও ক্রিশমার সান্তোকি।

বলা বাহুল্য, এখন পর্যন্ত এমসিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শেবাগ-সাঙ্গাকারারই অাধিপত্য। ছয় ম্যাচে ৩৫৬ রান করে শীর্ষে থাকা সাঙ্গার পরেই শেবাগের অবস্থান (৩০৯)। তিন নম্বরে জয়াবর্ধনে (২৯৯)।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বীরেন্দর শেবাগ।

উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারির (শনিবার রাত সাড়ে ৯টায়) ফাইনালে লিও লায়ন্স বা ভার্গো সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে জেমিনি এরাবিয়ান্স। দ্বিতীয় সেমিতে (১২ ফেব্রুয়ারি) ব্রায়ান লারার লায়ন্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে গ্রায়েম স্মিথের সুপার কিংস।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।