ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফিদের টার্গেট ১৯৫

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
মাশরাফিদের টার্গেট ১৯৫ ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টস হেরে ব্যাট করা ঢাকা ডায়নামাইটস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯৪ রান। মাশরাফির কুমিল্লাকে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো জিততে হলে এই স্কোর টপকে যেতে হবে। আর এটিই এবারের আসরের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

মিরপুর থেকে: টস হেরে ব্যাট করা ঢাকা ডায়নামাইটস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯৪ রান। মাশরাফির কুমিল্লাকে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো জিততে হলে এই স্কোর টপকে যেতে হবে।

আর এটিই এবারের আসরের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপের এটিই শেষ ম্যাচ। সন্ধ্যা সাতটায় মাঠে নামে কুমিল্লা-ঢাকা। চলমান বিপিএলের ১৩তম ম্যাচে মাঠে নামে দুই দল। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা দলপতি মাশরাফি।

ঢাকার হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি মারুফ এবং কুমার সাঙ্গাকারা। কুমিল্লার হয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন দলপতি মাশরাফি। তার প্রথম ওভারে ৫ রান তুলে ইনিংস শুরু করেন ঢাকার দুই ওপেনার। উইকেটে থেকে ব্যাটে ঝড় তোলার আভাস দিয়ে বিদায় নেন লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা (২০)। আল আমিনের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয় ১২ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় ইনিংস সাজানো সাঙ্গাকারাকে। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ঢাকা তাদের প্রথম উইকেট হারায়।

৬৩ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে এক উইকেট হারানো ঢাকা। নাসির-মেহেদির দারুণ জুটিতে ঢাকার রানের চাকা ঘুরতে থাকে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে বিদায় নেন নাসির। রায়ান টেন ডয়েসকাটের বলে আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দি হওয়ার আগে নাসির করেন ৪৩ রান। ৩৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এই ইনিংসটি সাজান তিনি। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ঢাকার। তবে, তার আগে নাসির-মারুফ মিলে স্কোরবোর্ডের আরও ৮৪ রান যোগ করেন।

এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রবি বোপারা-মেহেদি মারুফ। তবে, উইকেটে থিতু হতে পারেননি বোপারা। ১০ বলে ৮ রান করে ইনিংসের ১৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন বোপারা। একই ওভারে মেহেদি মারুফকে ফিরিয়ে দেন এই বোলার। ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফেরেন মারুফ। ব্যাটে ঝড় তোলা এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে চারটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।

এরপর সাকিব-ডোয়াইন স্মিথ মিলে আরও ৩৬ রান (১৬ বলে) যোগ করেন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রশিদ খানের তৃতীয় শিকারে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। আল আমিনের তালুবন্দি হওয়ার আগে সাকিব করেন ১৩ বলে ২৪ রান। তার ইনিংসে ছিল একটি চার আর দুটি ছক্কার মার।

ডোয়াইন স্মিথ ১০ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন রশিদ খান।

পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে মাশরাফির কুমিল্লা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। এদিকে, ঢাকা টেবিলের উপরের দিকে অবস্থান করছে। তিন ম্যাচ খেলা ঢাকা দুটিতে জয় আর একটিতে হার নিয়ে সংগ্রহ করেছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ে নেমেছিল মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস এবং তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস। মুশফিক-নাফিসরা ৭ উইকেটে হারিয়েছে তামিমের চিটাগংকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।