ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার দুঃস্বপ্ন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার দুঃস্বপ্ন ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চলতি আসরের শুরুটা করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। প্লেয়ারস ড্রাফটে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ আশা-জাগানিয়া দলই ছিল তারা। তবে আসরে শুরুর দুঃস্বপ্ন তাদের নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই কুমিল্লাকে পরাজয় বরণ করতে হয়। আর শেষ পর্যন্ত প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তারা।

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চলতি আসরের শুরুটা করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। প্লেয়ারস ড্রাফটে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ আশা-জাগানিয়া দলই ছিল তারা।

তবে আসরে শুরুর দুঃস্বপ্ন তাদের নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই কুমিল্লাকে পরাজয় বরণ করতে হয়। আর শেষ পর্যন্ত প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তারা।

কুমিল্লার মতো বাজে শুরু এ আসরে অন্য কোনো দলই করেনি। এবারে প্রতিটি খেলায়ই দলটির একাদশ নির্বাচনে দেখা যায় অনিশ্চয়তা। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই তাদের একাদশে প্রচুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটার বাছাইয়ে গলদ ছিল। অন্যদিকে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস ছিলেন দলের ভরসা। আর বিদেশিদের মধ্যে গতবারের টুর্নামেন্ট সেরা আসহার জাইদি ছিলেন। তবে তাদের পারফরম্যান্সেও ছিল না কোনো মনে রাখার মতো বিষয়।

কুমিল্লার পারফরমার হিসেবে দলের কান্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা একাই ছিলেন ধারাবাহিক। ব্যাটে-বলে দলকে যতটুকু সম্ভব টেনেছেন। তবে পুরোণো হ্যামিস্ট্রিং ইনজুরি তাকে বরাবরের মতো চেপে ধরেছিল। এছাড়া দলের আফগান সৈনিক লেগ স্পিনার রশিদ খান, ক্যারিবীয় ব্যাটিং স্তম্ভ মারলন স্যামুয়েলস ও বাংলাদেশের নাবিল সামাদ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন।

গত আসরে একরকম চমক দিয়েই শিরোপা উল্লাসে মেতেছিল কুমিল্লা। ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের পর ট্রফির আনন্দ উদযাপন করে দলটি। তবে এবারে ১২ ম্যাচ খেলে শেষ চার ম্যাচে জয় পেলেও টুর্নামেন্টে মোট জয় পেয়েছে পাঁচটিতে। পাশাপাশি সাতটি হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে শেষ করেছে আসর।

টুর্নামেন্টের বড় দিক:
কুমিল্লা এবারে যতগুলো জয় পেয়েছে তা মূলত শেষ দিকেই এসেছে। জয়ের ধারাবাহিকতাটা শুরু হয় খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তারা হয়তো ভেবেছিল, আগের ম্যাচগুলো না হারলে ভালো সুযোগ তৈরি হতো।

টুর্নামেন্টের বাজে দিক:
প্রথম পাঁচ ম্যাচে হেরে আসরের প্লে-অফে খেলার আশা ক্ষীণ হয়ে আসে কুমিল্লার। পাশাপাশি পরিস্থিতিটা এমন হয়ে দাঁড়ায় পরের ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি পড়ে দলটির মাঝে।

সেরা পারফরমার:
কুমিল্লার এবারের আসরে মারলন স্যামুয়েলস ছিলেন শেষ পর্যন্ত দলের সেরা ব্যাটসম্যান। তবে আবারও বলতে হয় দলের আলো একাই কেড়ে নিয়েছেন দলপতি মাশরাফি। ইনজুরি নিয়ে লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নতুন ও পুরাতন বলে খেলেছেন দুর্দান্ত।

বাজে পারফরমার:
বিপিএলে আরও একটি বাজে সময় কাটিয়েছে কুমিল্লার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ১১ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬৪ রান! আসরে টপঅর্ডারের বিভিন্ন পজিশনে খেললেও ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। তার উইকেটের পেছনেও ভূমিকা দলের খুব কাজে আসেনি।

সেরা ব্যাটসম্যান: মারলন স্যামুয়েলস-আট ম্যাচ খেলে ৬৬.৮০ গড়ে ৩৩৪ রান করেছেন। যেখানে ছিল দুটি অর্ধশত। এখন পর্যন্ত আসরের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকাতেও রয়েছেন তিনি।

সেরা বোলার: রশিদ খান ও মাশরাফি-আফগান স্পিনার আট ম্যাচ খেলে ৬.০৬ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। ১২ ম্যাচে ৬.৪৩ গড়ে সমান ১৩টি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।