ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রাজশাহীকে ১২৬ রানের টার্গেট দিল খুলনা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
রাজশাহীকে ১২৬ রানের টার্গেট দিল খুলনা ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফো.কম

রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধরিত ওভার শেষে নয় উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করেছে খুলনা টাইটান্স। দলের হয়ে সর্বেোচ্চ ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আরিফুল হক। তিনি ২৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। রাজশাহী হয়ে সর্বেোচ্চ তিন উইকেট পান সামিত প্যাটেল। 

মিরপুর থেকে: রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধরিত ওভার শেষে নয় উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করেছে খুলনা টাইটান্স। দলের হয়ে সর্বেোচ্চ ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আরিফুল হক।

তিনি ২৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। রাজশাহী হয়ে সর্বেোচ্চ তিন উইকেট পান সামিত প্যাটেল।

দলীয় ১৭ ওভারের চতুর্থ বলে চার রান করা মোশাররফ হোসেনকে আউট করেন ড্যারেন স্যামি। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে শূন্য রানে ফেরান কেসরিক উইলিয়ামস।  ১৪ ওভারের প্রথম বলে সামিত প্যাটেল বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনা দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২২)। একই ওভারের পঞ্চম বলে চার রানে আউট হন কেভিন কুপার। ১১তম ওভারে ১২ রান করা বেনি হাওয়েলকে স্যামির ক্যাচে পরিণত করেন সামিত প্যাটেল।    

সপ্তম ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে খুলনার। একই ওভারে ২২ রান করা নিকোলাস পুরানকে ফেরান আফিফ হোসেন।  চতুর্থ ওভারে ফরহাদ রেজার বলে নামজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শুভাগত হোম (৪)।  তৃতীয় ওভারে প্রথম বলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউটের ফাঁদে পড়েন হাসানুজ্জামান (১)। একই ওভারের তৃতীয় বলে আবার রান আউট হন আব্দুল মাজিদ (১১)।  

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এ ম্যাচে যে দলই জয় পাবে, তারাই দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল খেলবে।

বিপিএলের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিপক্ষ হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে খুলনা টাইটান্স ও রাজশাহী কিংস। শক্তির বিচারে কাউকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণী হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হয়।

এলিমিনেটর ম্যাচে তামিম-গেইলের চিটাগং ভাইকিংসকে বিদায় করে রাজশাহী। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ৯৪ রানে সাত উইকেট হারালেও চিটাগংয়ের জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন ড্যারেন স্যামি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৫ রানে (২৭ বল) অপরাজিত থেকে দলকে কোয়ালিফায়ারে নিয়ে যান ক্যারিবীয় তারকা।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনাকে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে পা রাখে সাকিবের ঢাকা। ১৪১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২২ বল বাকি থাকতেই ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহদের ইনিংস।

শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকতে তাদের সামনে এখন এলিমিনেটর জয়ী রাজশাহী বাধা। লক্ষ্য পূরণ হলে এবারের আসরে চতুর্থবারের মতো ঢাকা-খুলনা ম্যাচ উপভোগ করবেন দর্শকরা। যেখানে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে খুলনা টাইটান্স। কোয়ালিফায়ার-১ এ মধুর প্রতিশোধ নিলেও রাউন্ড রবিন পর্বের দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পান সাকিবরা।

টুর্নামেন্টে দু’বারের দেখায় খুলনা ও রাজশাহী দু’দলই একবার করে জয় পায়। প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়ে (৯ নভেম্বর) ৩ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় খুলনা। গত ২৬ নভেম্বরের মাচে মাহমুদউল্লাহর দলকে ৯ রানে হারায় স্যামি-সাব্বিরের রাজশাহী। এবার বাঁচা-মরার ফাইনাল নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জে শেষ হাসি হাসবে কারা সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা!

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।