ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শততম টেস্টে সাবেক তারকাদের শুভেচ্ছা

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
শততম টেস্টে সাবেক তারকাদের শুভেচ্ছা শততম টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন সাবেক তারকারা/ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই শেষ হবে অপেক্ষার প্রহর। বুধবার (১৫ মার্চ) কলম্বোর পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাইলফলক স্পর্শকারী শততম টেস্ট খেলতে নামবে লাল-সবুজের দল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য চিরস্মরণীয় এই দিনটিকে সামনে রেখে বাংলানিউজের মাধ্যমে টাইগারদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন এদেশের ক্রিকেটের সাবেক তারকারা। দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও।

শফিকুল হক হীরা: শততম টেস্ট অবশ্যই আমাদের অন্যতম একটি অর্জন। আরও ভালো লাগতো যদি এদেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে ম্যাচটি ঢাকায় হতো।

তাহলে সত্যিই আমাদের দেশের ক্রিকেটপাগল মানুষ উপলব্ধি করতে পারতো যে শততম টেস্ট আসলেই কি। তবে সিরিজের প্রথম টেস্টটি হেরে যাওয়ায় ম্যাচটিকে নিয়ে তাদের উত্তেজনার মাত্রা কিছুটা কমে গেছে। তারপরেও বাংলাদেশ যেন ম্যাচটি প্রত্যাশিতভাবে ভালো খেলতে পারে সেজন্য সবাই দোয়া করবে। দল ভালো খেলুক এটাই আমরা চাই। সম্মানজনক একটা ম্যাচ যেন হয়। টাইগারদের জন্য শুভকামনা থাকলো।

গাজী আশরাফ লিপু: একশতম টেস্ট ম্যাচ খেলা যে কোনো দলের জন্য একটি মাইলফলক। আর মাইলফলকের ম্যাচে বাংলাদেশ দল ভালো করবে এটাই প্রত্যাশা। সকল খেলোয়াড়দের প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা। আশা করছি ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা তাদের সেরাটি দিয়েই পারফর্ম করবে। কারণ প্রথম ম্যাচটি আমাদের মোটেই ভালো যায়নি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লড়াইটা আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। তবে এই ম্যাচে তারা সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।

ফারুক আহমেদ: শততম টেস্ট বলে কিছু নেই। প্রথম টেস্টে আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। তাই বাংলাদেশকে এই টেস্টে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। তবে আশা করছি উন্নতির ধারায় আমাদের দল থাকবে। আর যারা এই ম্যাচটি খেলবে তারা অবশ্যই ইতিহাসের অংশ হবে। শুভকামনা করছি, তারা যেন তাদের অংশগ্রহণটি স্মরণীয় করে রাখতে পারে।

আকরাম খান: আমি খুবই গর্ববোধ করছি এই ভেবে যে আমরা শততম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আরেকটি বিষয় ভেবে ভালো লাগছে যে দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি আমি খেলেছি এখন মাইলফলক স্পর্শকারী এই টেস্ট ম্যাচে আমার পরিবারের একজন (তামিম) খেলবে। প্লেয়ারদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। শততম ম্যাচটিতে তারা যদি দেশকে বড় কিছু উপহার দিতে পারে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে এবং সবাই সারা জীবন মনে রাখবে।

নাইমুর রহমান দুর্জয়: এই ম্যাচের জন্য দলের প্রতি আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকবে। আমরা যারা মাঠের বাইরে থাকবো তাদের জন্য ম্যাচটি ঐতিহাসিকই বটে। কিন্তু, মাঠের ভেতরে যারা থাকবে তাদের কিন্তু অন্য আট দশটি ম্যাচের মতোই খেলতে হবে। কোন বাড়তি চাপ নেওয়ার দরকার নেই।

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু: শততম ম্যাচে আশা করি একটা বড় কিছু পাওয়ার। এই ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলে আগামীতে আরও ভালো খেলার সাহস যোগাবে। তবে আমি আশাবাদী। কেননা সম্প্রতি বিদেশে যতগুলো টেস্ট খেলেছি প্রতিটিতেই পাঁচদিন খেলতে পেরেছি। আগে যেখানে তিনদিন, দুই দিনেই শেষ হয়ে যেত এখন লড়াই করে পাঁচদিন খেলতে পারছি। এখন বিদেশের মাটিতে একটা টেস্ট জিততে পারলেই একটি ভালো দল হিসেবে আমরা গড়ে উঠতে পারবো। ম্যাচটিকে যেন আমাদের প্লেয়াররা স্মরণীয় করে রাখতে পারে সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের শুভ কামনা রইলো।

জাবেদ ওমর বেলিম: শততম টেস্টকে সামনে রেখে অবশ্যই শুভকামনা থাকবে। তবে বিশেষ কিছু হবে যদি আমরা ভালো কিছু করতে পারি। এটা একটা বড় ব্যাপার, ম্যাচটির সঙ্গে আবেগও জড়িত। তবে দিনশেষে সবাই মনে রাখবে এই ম্যাচে আমরা কেমন খেলেছি। অবশ্যই আমার শুভকামনা থাকবে বাংলাদেশ ভালো খেলুক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ১৪ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।