ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল টাইগারদের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল টাইগারদের ছবি: সংগৃহীত

বৃষ্টির কারণে পুরো ম্যাচ না হওয়ায় ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। মালয়েশিয়ায় চলমান এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে পাকিস্তান ২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

পাঁচ বছর আগে দেশের মাটিতে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের জাতীয় দল পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল ২ রানের ব্যবধানে। সেই পাকিস্তানের যুবাদের বিপক্ষে সাইফ হাসানের (অনূর্ধ্ব-১৯) দল হারলো সেই ২ রানের ব্যবধানেই।



ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিতে জায়গা করে নেওয়া টাইগার যুবারা পাকিস্তানকে সহজেই হারাতে পারতো। শেষ ৬৬ বলে ৭৬ রান দরকার ছিল হাতে ৫ উইকেট থাকা পাকিস্তানের। তবে, দুর্ভাগ্য যে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পুরো শেষ হয়নি। লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা হয়তো বাংলাদেশের বোলারদের সামনে শেষ পর্যন্ত দাঁড়াতে পারতো না। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারানো বাংলাদেশ গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে উড়িয়ে দেয়। গ্রুপপর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড়ের অধীনে থাকা ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়ে সাইফ হাসানের দল সেমি ফাইনালে উঠে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভালে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৭৪ রান। জবাবে, পাকিস্তানের যুবারা ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৯ রান। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা আগে বাড়েনি।

ব্যাটিংয়ে নেমে আরও একবার দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ওপেনার পিনাক ঘোষ। ৯৩ বলে আটটি চার আর একটি ছক্কায় ৮২ রান করেন তিনি। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন পিনাক ঘোষ। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ ১৪ রান করে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা দলপতি সাইফ হাসান ৬১ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন। তার ৭৮ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি।

তৌহিদ হৃদয় এই ম্যাচে ফেরেন ৫ রান করে। আমিনুল ইসলাম ১৩, মাহিদুল অঙ্কন ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ৫৫ বলে ৫টি বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৫ বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ২২ রান করা নাঈম হাসানও অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তানের মুনীর রিয়াজ ৮ ওভারে ৫৩ রান করে তিনটি উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান শাহীন আফ্রিদি, হাসান খান এবং সুলেমান শাফকাত।

২৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ আরিফ ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার মহসিন খানের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। তিন নম্বরে নামা আবদুল্লাহ শফিক করেন ১০ রান। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রোহাইল নাজির ২৬ রান করে বিদায় নেন।

মোহাম্মদ তাহা পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। টাইগারদের গলার কাঁটা হয়ে থাকা এই পাকিস্তানি ৯৭ বলে আটটি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৯২ রান। শাদ খান ৩৮ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৯ ওভার পর আবারো বৃষ্টি নামে। তখন জয়ের জন্য পাকিস্তানিদের দরকার ছিল ৬৬ বলে ৭৬ রান। তবে, ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ২ রান বেশি থাকায় সেই ব্যবধানেই জয় নিয়ে ফাইনালে উঠলো পাকিস্তান।

বাংলাদেশের কাজী অনিক দুটি উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট পান আফিফ-শাখাওয়াত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।