টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। যেখানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে কুমিল্লা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন সাব্বির। ২০ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। এছাড়া ২৫ করেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার।
কুমিল্লা বোলারদের মধ্যে চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান ও হাসান আলি।
এর আগে টসে হারা কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল বিশ্রামে থাকায় ওপেন করতে নামা জস বাটলার তিন রানেই ফিরে যান। সাত করে প্যাভিলিওনে ফেরেন ইমরুল কায়েস। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার লিটন দাশ ও মারলন স্যামুয়েলস।
লিটন ৪৩ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৫ করে আউট হন। ৪৩ বলে পাঁচটি চারও দুটি ছক্কায় ৫৫ করেন স্যামুয়েলস। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৮ করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা শোয়েব মালিক।
সিলেট বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান নাবিল সামান, নাসির হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রস হুইটলি।
এ ম্যাচটি নিরুত্তাপই বটে, কেননা এ ম্যাচ ছাড়াই আসরের শীর্ষস্থান থেকে লিগ পর্ব শেষ করছে কুমিল্লা। পাশাপাশি এ ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চমস্থান থেকে ওপরে উঠতে পারবে না সিলেট।
এ ম্যাচে কুমিল্লার নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল বিশ্রামে থাকায় তার পরিবর্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোয়েব মালিক। এছাড়া সলোমান মায়ার ও মেহেদি হাসান রানার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে লিটন দাশ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও হাসান আলীকে।
আর সিলেট দলে একটি পরিবর্তন হয়েছে। আবুল হাসানকে সরিয়ে মোহাম্মদ শরিফকে নেওয়া হয়েছে।
সিলেট একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, আন্দ্রে ফ্লেচার, বাবর আজম, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), রস হুইটলি, সোহেল তানভির, মোহাম্মদ শরিফ, কামরুল ইসলাম রব্বি, শরিফুল্লাহ, নাবিল সামাদ।
কুমিল্লা একাদশ: ইমরুল কায়েস, লিটন দাশ, জস বাটলার, শোয়েব মালিক (অধিনায়ক), মারলন স্যামুয়েলস, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, রকিবুল হাসান, গ্রায়েম ক্রেমার, মেহেদি হাসান, হাসান আলি, আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমএমএস