রেকর্ড গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারালো টাইগাররা। টানা দুই ম্যাচে বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ২৭ জানুয়ারির ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেললো মাশরাফি বাহিনী।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে এটি সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আগের সর্বোচ্চ ১৬০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দাপটের সঙ্গেই ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল স্বাগতিক শিবির। দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান।
অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন থিসারা পেরেরা। দিনেশ চান্দিমাল ২৮ (রানআউট), ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ২৫, কুশল মেন্ডিস ১৯, নিরোশান ডিকভেলা ১৬, আসিলা গুনারত্নে ১৬, আকিলা ধনাঞ্জয়া ১৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩২.২ ওভারে গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।
তিনটি উইকেট দখল করেন সাকিব আল হাসান। দু’টি করে নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও রুবেল হোসেন। একটি করে পান প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেওয়া নাসির হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে সাত উইকেটে ৩২০ রান তোলে স্বাগতিক শিবির। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩২৯। ৩২০ যৌথভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ।
নিজ দেশ লঙ্কানদের কোচ হয়ে প্রথমবার সাবেক টিমের মুখোমুখি হন হাতুরুসিংহে। জয়ে ফেরার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি আক্রান্ত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ছাড়াই নামে সফরকারীরা। নেতৃত্ব ওঠে দিনেশ চান্দিমালের কাঁধে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ব্যাক-টু-ব্যাক ৮৪ রানের ইনিংস উপহার দেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম। উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। আক্ষেপ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সেঞ্চুরিটা হলো না। ত্রিশতম ওভারে স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়ার বল ব্যাট ছুঁয়ে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসে আটকা পড়ে।
দলীয় ১৭০ রানে আউট হওয়ার আগে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে যান তামিম। এনামুল হক বিজয়ের (৩৫) সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৯৯ রান যোগ করেন। সাকিব-মুশফিক তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পরের উইকেটেও অর্ধশত রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম।
সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৭। মুশফিক করেন ৬২। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৪, মাশরাফি ৬ রান করে আউট হন। ৪৯তম ওভারে নেমে ‘গোল্ডেন ডাক’ নাসির হোসেন (০) এলবিডব্লুর শিকার হন। সুরাঙ্গা লাকমলের করা শেষ ওভারে আসে ২০ রান। সাব্বির রহমান ১২ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ব্যাটিং প্রদর্শন করেন। ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সাব্বিরের সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
তিনটি উইকেট লাভ করেন থিসারা পেরেরা। নুয়ান প্রদীপ নেন দু’টি। একটি করে ধনাঞ্জয়া ও আসিলা গুনারত্নে।
আগামী রোববার (২১ জানুয়ারি) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। দু’দিন পর বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়ে। ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার সাক্ষাৎ হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম