গেল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গ্রায়েম ক্রেমারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৩৭ রানের পর বল হাতে ৪৩ রানের বিনিময়ে সাকিব তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) লঙ্কান শিবিরের বোলিংকে থোরাই কেয়ার করে সংগ্রহ করেছেন ৬৭ রান।
সাকিবের এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বাহিনি। তার এমন ধারালো পারফরম্যান্স আসন্ন দিনেও প্রতিপক্ষ শিবির দেখবে। এমন প্রত্যয়ের কথাই বললেন সাকিব, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটা সবসময়ই ভালো একটা অনুভুতি। যেটা হচ্ছে শেষ দুটি ম্যাচেই ব্যাটিং বোলিংয়ে ভালো পারফর্ম হচ্ছে। চেষ্টা থাকবে যেন এটা চালিয়ে যেতে পারি। ’
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। টুর্নামেন্টের প্রেক্ষাপটে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে পাওয়া জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেও জানান লাল-সবুজের ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই। এই টুর্নামেন্টের কনটেক্সটেও যদি চিন্তা করি ম্যাচ দুটো জেতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুটো ম্যাচ আমরা যেভাবে কনভিনসিংলি জিতলাম তাতে আমরা প্রায় ফাইনালে উঠে গিয়েছি। এই দুটো ম্যাচই পরের ম্যাচগুলো জয়ে এবং ফাইনালে উঠতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজার রানের অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘এমন একেকটা ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে। চেষ্টা থাকবে যেন আরও করতে পারি। সব সময় হয় না, হবে এটাও না। চেষ্টা থাকবে যতো তাড়াতাতি পরের মাইলফলকগুলা ছোঁয়া যায়। ’
টাইগারদের হেড কোচ থাকাকালীন হাথুরুসিংহে সম্পর্কে একটি কথা ক্রিকেট পাড়ায় বহুল প্রচলিত ছিলো। সেটা হলো, তিনি ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা খর্ব করেন। যার যেখানে খেলা উচিত সেখানে খেলতে দেন না। বরং তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। তাতে করে প্লেয়াররা স্বাধীনভাবে খেলতে পারতেন না। সেই হাথুরু এখন আর নেই।
তার বিদায়ের টাইগার দলেও পরিবর্তন এসেছে। দলের সিনিয়র প্লেয়াররা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। তার জ্বলন্ত উদাহরণ, সাকিব এখন তিন নম্বরে ব্যাটিং করছেন। হাথুরু আমলে অবহেলিত নাসিরও দলে ফিরেছেন। আছে আরও পরিবর্তন। যে বিষয়গুলো সাকিবদের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেই মত তার। তবে হাথুরুসিংহেকে নিয়ে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলেন।
‘আমাদের পরিকল্পনা যারা করেন তাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু আমাদের কোচের পরিবর্তন এসেছে। আমি বলবো না আগে আমরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারতাম না। এখন আমরা স্বাধীনভাবে খেলার পাশাপাশি সিদ্ধান্তও নিতে পারছি। সো আমাদের কাছে মনে হয়, আমাদের কাছে এটা একটা অ্যাডভানটেজ। সুজন ভাই আছে, রিচার্ড আছে দুইজনই জানে আমাদের কি দরকার। দুইজনই এগুলো সরবরাহ করতে পারছে, আমরা মাঠে পারফরম্যান্স করছি। ’
আগামী ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাশরাফি-সাকিবদের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। আর ২৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) টাইগাররা মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কাকে। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম