শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ১ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। এ রিপোর্ট লেখা অবধি দলীয় সংগ্রহ ৭৪ ওভার শেষে এক উইকেটে ২৭৪।
দ্বিতীয় দিনে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চাপে পড়ে যেতে পারতো স্বাগতিক শিবির। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই বিদায় নিতেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে বেশ ভুগিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্লিপে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন করুণারত্নে (০)।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৭৪।
লক্ষ্য পূরণ হয়নি ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হকের। মাত্র ১ রান যোগ করেই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন চোখ ধাঁধানো ইনিংসের মালিক। রঙ্গনা হেরাথের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ও ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো তার। থামেন ১৭৬ রানে। ২১৪ বলের সাজানো ইনিংসটিতে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে যান ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট অধিনায়ত্বের অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজ ২০ (রানআউট) ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ২৪ রান করেন। মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে ভর সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দল।
মুমিনুলের সঙ্গে ২৩৬ রানের তৃতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিকুর রহিম (৯২)। তামিম ইকবাল ৫২, ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।
সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হেরাথ ও পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। লক্ষণ সান্দাকান দু’টি ও অন্যটি অরেক স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম