তাই চলমান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সেই অচলাবস্থা কাটানোর দারুণ এক সুযোগ উঁকি দিচ্ছে টাইগার শিবিরে।
সেজন্য খুব বেশি কিছু স্বাগতিকদের করা প্রয়োজন নেই, যেহেতু হাতে এখনও ৮টি সেশন বাকি আছে সেহেতু ব্যাটারদের ধৈর্যশীল ব্যাটিংই যথেষ্ট।
দুঃখজনক হলেও সত্য ঘাপলাটি বাধিয়ে দিয়েছে এই রানটিই। কেননা দ্বিতীয় ইনিংসে এই মাঠে এযাৎ সর্বোচ্চ ১০১ রান তারা করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। শের-ই-বাংলার রহস্যেঘেরা এই উইকেটে কোনো দলই চতুর্থ ইনিংসে এত রান তারা করে জিততে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে এই মাঠে সর্বোচ্চ ২০৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের।
সেটা ২০১০ সালে। অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের ১০৯ ও কেভিন পিটারসেনের ৭৪ রানে ইংলিশদের ৯ উইকেরেটের বড় জয়ে কপাল পুড়েছিল সাকিব আল হাসান ও তার দলের।
তাই কাজটি কঠিন বলাই শ্রেয়। সেই কঠিন কাজটি করতেই ঢাকা টেস্ট জয়ের লক্ষ্যেই ইতোমধ্যেই তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ্। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। লাঞ্চ বিরতির আগেই ক্রিজ ছাড়া হয়েছেন দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। দিলরুয়ান পেরেরার দারুণ ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ২ রানে তামিমের ফিরে যাওয়ার পর হেরাথ ঘূর্ণিতে ১৭ রানে নিজের ইনিংসের সলিল সমাধি ঘটিয়েছেন ইমরুল কায়েস।
দেখা যাক বাকিরা তাদের দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে পারেন কী না। তাহলে কিন্তু শুধু জয় নয় রেকর্ড ব্রেকিং জয়ের গৌরব নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারবে সাকিবহীন বাংলাদেশ। পাশাপাশি কাটবে প্রায় চার বছর সিরিজ জয়ের খরা।
পারবে তো টাইগাররা?
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস