হোল্ডারের বিশ্বাস, অনূর্ধ্ব-১৯ ও নারী টিমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার এটাই সময়। উইন্ডিজ টিমের ২০১৬ টি-টোয়েন্টি ও অ-১৯ দলের ২০১৬ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ জয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা টি-২০ ক্রিকেটে ভালো করছি, আমরা নারী ক্রিকেট এবং অ-১৯ ক্রিকেট পর্যায়েও ভালো করছি।
বাস্তবতা বলছে, ক্যারিবীয়দের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুবই কম পাওয়া যাবে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ আট দলের বাইরে থেকে সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। বাছাইপর্বের (জিম্বাবুয়েতে ৪ মার্চ থেকে শুরু) বাধা পেরিয়েই উত্তীর্ণ হতে হবে। র্যাংকিং দুর্দশায় গত বছর আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও জায়গা মেলেনি এক সময়ের পরাক্রমশালীদের। ক্যারিবীয় ক্রিকেটে তা এক লজ্জার অধ্যায় হয়েই থাকবে।
হোল্ডার জোর দিয়েই বলছেন, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো বড্ড প্রয়োজন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুধুমাত্র উইনিং কম্বিনেশন খুঁজে পেতে সাহায্য করবে না, আগামী বছর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে একটা মোমেন্টাম নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
‘আমরা জানি সামনে কি ঝুঁকি রয়েছে। আগামী বছরের ওয়ার্ল্ডকাপের জন্য কিছু মোমেন্টাম লুফে নেওয়া, সবাই সংঘবদ্ধ হওয়া, টিম কন্ডিশন চূড়ান্ত করা, সবকিছু ঠিকঠাক রাখার সুযোগ এটা। আশা করছি, ওয়ানডে ফরমেটে আমাদের ক্রিকেটকে দাঁড় করাতে পারবো। ’
‘এটা সম্ভবত আমাদের দুর্বল ফরমেট। কোনো সন্দেহ নেই, আমরা ধারাবাহিক নই, যেটিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ’
বাছাইপর্বে খেলার জন্য এগিয়ে আসায় অভিজ্ঞ ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলসের ভূয়সী প্রশংসাই করেছেন ৭০টি ওয়ানডে খেলা ২৬ বছর বয়সী হোল্ডার। প্রতিভাবান বোলিং অলরাউন্ডারের কথায়, ‘আমি অবশ্যই গেইল ও স্যামুয়েলসের প্রশংসা করি, যারা কোনো প্রেরণা ছাড়াই উইন্ডিজের হয়ে ভালো করতে এবং আরেকটি ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার জন্য এখানে এসেছেন। আমাদের গ্রুপটাকে যেমনটা বলেছি, এটা হয়তো তাদের জন্য ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করার একটা সুযোগ। ক্যারিয়ারের শেষে এসে ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার মধ্য দিয়ে নিজেদের উজাড় করে একটা ছাপ রাখারও সুযোগ এটি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম