পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-২ সমতা বিরাজ করছে। ইংলিশদের এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন টেইলর।
টেইলর বীরত্বের বৃথাই গেল জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের জোড়া সেঞ্চুরি। তার ১৪৭ বলের চোখ ধাঁধানো অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কার মার। এটি টেইলরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক।
টম ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ৭১। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪৫, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১২ বলে ২৩ রান করে আউট হন। টেইলরের সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন হেনরি নিকোলস।
সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে শুরুর ধাক্কাটা দুর্দান্তভাবেই সামাল দেয় স্বাগতিক শিবির। ২ রানের মধ্যে মার্টিন গাপটিল (০) ও কলিন মানরোর (০) উইকেট হারিয়ে চাপের মুখেই পড়েছিল কিউইরা। সেখান থেকে ৮৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক লড়াই কাটিয়ে ওঠেন টেইলর ও উইলিয়ামসন। ল্যাথামের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৮৭ রানের পার্টনারশিপে জয়ের ভিত গড়েন ৮ মার্চ ৩৪-এ পা রাখতে যাওয়া অভিজ্ঞ টেইলর।
টম কুরান দু’টি উইকেট নেন। একটি করে পান ক্রিস উকস, মার্ক উড ও বেন স্টোকস।
এর টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ৩৩৫ রান তোলে ইংলিশরা। মিডলঅর্ডার ব্যর্থ না হলে দলীয় সংগ্রহ আরও বড় হতে পারতো।
বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের (৪২) ওপেনিং জুটি ভাঙে ৭৭ রানে। দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে রুট-বেয়ারস্টোর ১৯০ দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু এরপরই ছন্দপতনের শুরু। আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বেয়ারস্টো ১৩৯ ও রুট ১০২ রানে সাজঘরে ফেরেন। জশ বাটলার ০, অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫, স্টোকস ১, মঈন আলী, উকস ৩, আদিল রশিদ ১১ রান করে বিদায় নেন। শেষদিকে কুরান ১০ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
চারটি উইকেট দখল করেন লেগস্পিনার ইশ সোধি। ট্রেন্ট বোল্ট ও মানরো নেন দু’টি করে। অন্যটি টিম সাউদির।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ৭ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম