এক বছর নিষিদ্ধ হওয়া স্মিথ বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক হিসেবে আমি এর (বল বিকৃতি) সব দায় নিতে চাই। আমি একটি মারাত্মক ভুল করেছি।
‘আমার ভুল এবং যে ক্ষতি হয়েছে তা শোধরানোর জন্য আমি সম্ভাব্য সবকিছু করবো। এখান থেকে যদি কোনো ভালো কিছু আসে তা অন্যদের জন্য বার্তা হবে এবং আশা করি পরিবর্তনের জন্য আমি একটি হাতিয়ার হতে পারি। ’-যোগ করেন স্মিথ।
বল বিকৃতির ঘটনাটি সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে স্মিথকে, ‘আমি জানি এর জন্য বাকি জীবন আমি অনুশোচনা করবো। আমি একেবারে নিঃশেষ। আমি আশাবাদী, সময়ের সঙ্গে সম্মান এবং ক্ষমা ফিরিয়ে আনতে পারবো। বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলা ক্রিকেট। এটা আমার জীবন এবং এটি আবারো হবে বলে আমি আশা করি। ’
অস্ট্রেলিয়ান টিমে এটিই প্রথম বল টেম্পারিং বলেও জোর দিয়ে বলেন স্মিথ, ‘আমার জানা মতে, অতীতে এটা কখনোই হয়নি। এটাই প্রথমবার এবং আর কখনোই এটি ঘটবে না। ’
সহ-অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ানো ডেভিড ওয়ার্নার ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। ওয়ার্নারকে দোষারোপ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে কারও দিকে দায় দিচ্ছেন না অধিনায়কত্ব হারানো স্মিথ, ‘আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি অধিনায়ক, এটা আমার দেখার বিষয় এবং কেপটাউনে যা হয়েছে তার দায় আমি নিচ্ছি। ’
তরুণ ভক্তদের জন্য স্মিথের বার্তা, ‘আমি দু’টি জিনিস বলবো অথবা তিনটি। প্রথমত, আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি, ছোট বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ভালোবাসি, বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলতে চাওয়াটা আমি পছন্দ করি। ’
‘অন্য দু’টি দিক হচ্ছে, যেকোনো সময় যখন তুমি প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে যাবে, চিন্তা করতে হবে এতে কারা ক্ষতির শিকার হবে, তোমরা তোমাদের পরিবারের ক্ষতি করছো। আমরা বয়স্ক মানুষকে যেভাবে দেখছি, এটা কষ্টদায়ক। আমি শুধু বলতে চাই, আমি এই কষ্টের জন্য দুঃখিত যেটা আমি অস্ট্রেলিয়া এবং ভক্ত ও সাধারণ মানুষের মাঝে বয়ে এনেছি। এটা বিধ্বংসী এবং আমি সত্যিই দুঃখ প্রকাশ করছি। ’
বল টেম্পারিংয়ের জন্য আইসিসির সর্বোচ্চ শাস্তি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। যা পেয়েছেন স্মিথ। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আচরণবিধিতে এটি গুরুতর অপরাধ। স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটাই তার প্রমাণ। ‘সিনিয়রদের নির্দেশে’ সরাসরি বল বিকৃত করে ধরা পড়া ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট নিষিদ্ধ ৯ মাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম/জেএম