এর আগেরবার অবশ্য তারই সতীর্থ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক মহারথী সাকিব সাকিব আল হাসানের হাতে তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৫ সালে! বিপিএলে একেবারে আনকোরা ‘কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেতা হয়ে দলকে শিরোপা জয়ের বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতার উপলক্ষ পাইয়ে দেন।
তার আগের দুই আসরে তো টানা জিতেছেন। এর সারমর্ম দাঁড়াচ্ছে তিনি যে দলেই যান সে দলই জেতে! হোক সেটা অধিনায়কের ভূমিকায় কিংবা শুধুই একজন ক্রিকেটারের। এই যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গেল মৌসুমের দল লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ছেড়ে এবার আবাহনীতে নাম লেখালেন। অমনি দলটি শিরোপা জিতলো! এরপরেও এই মানুষটিকে ভাগ্যবান না বলে উপায় কী?
অথচ, এখানে তিনি অধিনায়ক ছিলেন না। অনুজ নাসির হোসেনের নেতৃত্বে খেলেছেন। শিরোপা কিন্তু ঠিকই তাকে ধরা দিয়েছে। এতে করে যেটা হলো তার মোটামুটি লম্বা একটি সময়ের শিরোপার দুঃখ ঘুঁচলো। কেননা ডিপিএলে তিনি সবশেষ শিরোপা জিতেছেন ২০১০-১১ মৌসুমে।
সাকিব একটি কথা প্রায়ই বলেন, ‘নিজে পারফর্ম করলে তাতে দলও উপকৃত হয়। ’ কথাটিকে আবার তিনি সত্য প্রমাণিত করলেন। যদি বলা হয় আবাহনীর এবারের লিগ শিরোপা জয়ে তার ভূমিকা ছিল ৪০ ভাগ। বাকি ৬০ ভাগ করেছে দলের অন্যান্য
সদস্যরা। আশা করি এক রত্তিও ভুল হবে না।
বল হাতে মোট ১৬ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৩৯ উইকেট। ছাপিয়ে গেছেন গেলবারের সেরা শিকারি ৩৫ উইকেটধারী আবু হায়দার রনিকে। গড়েন এক সিজনে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড।
বল নয় যেন গোলা ছুঁড়েছেন। এবার টানা চার বলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এমন কীর্তি কোন বাংলাদেশিরই নেই। সেরা বোলিং ইনিংসে ৪৪ রানের ৬ উইকেট।
পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ছক্কার ফুলঝুড়িতো ছিলই। খুব বেশিদূর যাওয়ার দরকার নেই। রুপগঞ্জের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে (৫ এপ্রিল) ৮ বলে করেছেন ২৮ রান!
বয়স ৩৪ শেষ, ৩৫ ছুঁই ছুঁই করছে। এরপরেও তার পারফরম্যান্সের কি দ্যুতি! কতশত তরুণ! কিন্তু শুধুই উজ্জ্বল যেন তিনিই। নাম তার লড়াকু মাশরাফি বিন মর্তুজা বলে কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম