শুক্রবার (১ জুন) রাতে ভারতের দেরাদুনের মাঠে বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।
আফগানিস্তানের মতো নবীন ক্রিকেট দলের কাছে এতো বড় হারটা ‘লজ্জা’ কি-না, তার উত্তর যেন স্কোরবোর্ডই দেয়।
যে বোলিংটার কাছে বাংলাদেশ দল এতো ভেঙে পড়লো, সে আক্রমণে আবার ছিলেন না রশিদ খান বা মুজিবুর রহমানরা। তারা না নামার পরেই এই অবস্থা, তারা নামলে? সে প্রশ্নটা যেন আরও পোক্ত করলেন ২ রানে সৌম্য সরকার আউট হয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-সাব্বির রহমানরাও দাঁড়াতে পারেননি বেশিক্ষণ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ ১৪৫ রান জোগাড়ের পর আফগানদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৬। প্রথম ওভারেই আবু জায়েদ রাহি ভেঙে দেন ওপেনিং পার্টনারশিপ। পঞ্চম ওভারে ২২ রানের মাথায় পড়ে আরও একটি উইকেট, নেন আবু হায়দার রনি। ব্যস, এখানেই শেষ বাংলাদেশের হাসি, এরপর কেবল বল কুড়োনোর কাজটা করতে পারলেন বাংলাদেশিরা। হযরতউল্লাহ জেজাই ও মোহাম্মদ নবীদের এতো মারকুটে ব্যাটিংয়ের মধ্যে পেছাতে পেছাতে সাকিব বল হাতে নেন ১৪তম ওভারে। এতো পরে এসেও রেহাই মেলেনি, তার বলকেও বেধড়ক পিটুনি দিতে থাকেন জেজাই-নবীরা। শেষতক ১৭তম ওভারে, ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে আফগানরা।
৩ জুন রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির প্রথমটি। একই ভেন্যুতে ৫ জুন দ্বিতীয়টি ও ৭ জুন শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুন রাতে বাংলাদেশ যে ‘শিক্ষা’ পেলো, তা শোধরাবার বা ভুলবার ফুসরৎ মাঝে ২ জুন (শনিবার), ‘শনির দশা’টা এই বারে কেটে গেলে রোববার (৩ জুন) নতুন বাংলাদেশকে দেখা যাবে, সে প্রত্যাশা করতে পারেন কোর্টনি ওয়ালশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এইচএ