সে ঘটনায় বর্তমানে এক বছরের শাস্তি ভোগ করছেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তাদের পাশাপাশি ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞায় আছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফটও।
তার ভাষ্য মতে, যে ভিডিও দেখে এত কিছু হয়ে গেল সেই ভিডিওটি ছিলো এডিট করা। আর এডিট করা ভিডিও দিয়েই তাদের ফাঁসানো হয়েছে, এমনটাই দাবি তার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের সেই ঘটনায় এক ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানক্রফট হলুদ রংয়ের সিরিজ কাগজের মতো কিছু একটা দিয়ে বল ঘষছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তখনকার কোচ ড্যারেন লেহম্যানের সঙ্গে ওয়াকিটকিতে কথা বলছেন ডাগআউটে থাকা হ্যান্ডসকম্ব। এরপরই তিনি মাঠে গিয়ে ব্যানক্রফটকে কিছু একটা বলতেই হাতের বস্তুতি তিনি লুকিয়ে ফেলেন।
কিন্তু এত বড় ঘটনার এত দিন পর হ্যান্ডসকম্ব দাবি করেছেন, পুরো ঘটনার ভিডিওটি এডিট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভিডিওটি আমার অনেক পছন্দের কারণ এটা আসলেই আশ্চর্যের। কী দারুণভাবে মিডিয়া এটাকে এডিট করেছে। ক্লিপে দেখানো হলো, আমি ওয়াকিটকিতে কথা বলছি, তারপরই ব্যানক্রফটের সঙ্গে মাঠে গিয়ে কথা বলছি।
‘আসল ঘটনা শুনুন, ওয়াকিটকিতে কথা বলার অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর আমি মাঠে ঢুকেছিলাম। দলের এক সদস্য টয়লেটে যাবে বলে আমি তার বদলি হিসেবে মাঠে যাই। আমি আর সে (ব্যানক্রফট) দুজনেই ক্যাচিং পজিশনে ছিলাম তাই সেখানেই তার সঙ্গে ঠাট্টা করছিলাম। তা ছাড়া আর কিছুই না। ’
‘আমি আসলে তখন এতটাই হতাশ ছিলাম কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সংবাদপত্রে এসব বিষয়ে পড়িনি। কোথাও যাইনি। কোনো প্রশ্নের উত্তর দেইনি। ’
এত বড় এক কাণ্ডে স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রফট নিষেধাজ্ঞা কাটালেও কোনোভাবেই জড়ায়নি হ্যান্ডসকমের নাম। এমনকি তদন্তেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। অথচ ভিডিওতে তাকেও দেখা গিয়েছিলো।
অবশ্য হ্যান্ডসকম্ব জানিয়েছেন, তিনি কোনোভাবেই জড়িয়ে ছিলেন না তাই সৎভাবেই আবার জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬০৮ ঘন্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এমকেএম