চলুন আসর মাঠে গড়ানোর আগে জেনে নেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের সম্পর্কে:
সনাৎ জয়াসুরিয়া (১৯৯০-২০০৮)
লঙ্কান ‘পাওয়ার হিটিং’ ওপেনিং ব্যাটসম্যান সনাৎ জয়াসুরিয়া ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপে মোট ২৫টি ম্যাচে খেলেছেন। এই ২৫ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫৩ গড়ে মোট ১২২০ রান করেছেন সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক।
সবমিলিয়ে এশিয়া কাপে ১৩৯টি বাউন্ডারি আর ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এই টুর্নামেন্টে তার স্ট্রাইক রেট ১০২.৫।
কুমার সাঙ্গাকারা (২০০৪-২০১৪)
জয়াসুরিয়ার পরের স্থানটিও একজন লঙ্কানের। শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের মালিক কুমার সাঙ্গাকারা আছেন দ্বিতীয় স্থানটিতে। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক এশিয়া কাপে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলে ২৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন।
এশিয়া কাপে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের মোট রান ১০৭৫। ব্যাটিং গড় ৪৯, সর্বোচ্চ স্কোর ১২১। এশিয়া কাপে চার সেঞ্চুরি ও আট ফিফটির কীর্তি আছে তার নামের পাশে।
শচীন টেন্ডুলকার (১৯৯০-২০১২)
তিন নম্বরে আছেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার। এশিয়া কাপে মোট ২১ ইনিংসে ব্যাট করে ৫১ গড়ে ৯৭১ রান করেছেন ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের মালিক। এশিয়া কাপে তার সর্বোচ্চ রান ১১৪।
লিটল মাস্টারের নামের পাশে এই টুর্নামেন্টে দুই সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটি। ১৯৯০-৯১ এবং ১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপজয়ী ভারত দলের সদস্য ছিলেন শচীন। ২০১০ সালের আসরে তিনি বিশ্রামে ছিলেন।
বিরাট কোহলি (২০১০-২০১৬)
অবাক হওয়ার কিছু নেই এত শিগগিরই তালিকার শীর্ষ পাঁচে চলে এসেছেন ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে অবাক করার বিষয় হলো মাত্র ১৪ ইনিংস খেলেই এশিয়া কাপের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন তিনি।
২০১০ থেকে ২০১৬ এই সময়ে বর্তমান বিশ্বের সেরা এই ব্যাটসম্যান ৬৪ গড়ে ৭৬৬ রান করেছেন। এমনকি কোহলির ব্যাটিং গড় সেরা পাঁচের বাকিদের চেয়ে ঢের বেশি। তার স্ট্রাইক রেট ৯৯.৬। এশিয়া কাপে কোহলির সেঞ্চুরি আছে ৩টি, ফিফটি আছে ২টি। আসন্ন এশিয়া কাপে বিশ্রামে থাকায় মাঠে নামা হচ্ছে না তার।
অর্জুনা রানাতুঙ্গা (১৯৮৪-১৯৯৭)
তালিকার পাঁচ নম্বর স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। এশিয়া কাপে ১৯ ম্যাচ খেলে ৫৭ গড়ে ৭৪১ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৩১ রান। ১৯৮৬ ও ১৯৯৭ সালের এশিয়া কাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দুই আসরের ফাইনালেই হাফ-সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। এশিয়া কাপে এক সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটি আছে রানাতুঙ্গার নামের পাশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএইচএম/এমজেএফ