এই আপোস-মীমাংসার বৈঠকের জন্য এরইমধ্যে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মোসাদ্দেক ও সামিয়ার বাসার উদ্দেশ্যে তাদের নিজ নিজ নামে এই রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠানো হবে।
এরপর বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তারা সমঝোতায় রাজি না হলে তবেই তাদের বাসায় স্বশরীরে হাজির হয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাবেন অধিদপ্তরটির কর্মকর্তা। ওই সময় প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলে আদালতে নির্ধারিত সময়েই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী। তিনি সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যক্রমও পরিচালনা করেন।
শারমিন শাহজাদী বাংলানিউজকে আরো বলেন, ‘আমরা মোসাদ্দেক ও সামিয়াকে ডেকে যদি দেখি তাদের দু’জনেরই একসঙ্গে ফের সংসার করার সম্মতি আছে তাহলে বিষয়টি মীমাংসা করে সেই অনুযায়ী আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দেবো। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে দুইপক্ষের বাসায় যাবো এবং সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে সে অনুযায়ী আদালতে রিপোর্ট পাঠাবো’।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন প্রণয়ের পর পরিবারের সম্মতিতেই গাঁটছড়া বাঁধেন মোসাদ্দেক ও সামিয়া। গত ২৬ আগস্ট দুপুরে সদর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
ডিভোর্স ও যৌতুকের মামলার বিষয়ে মোসাদ্দেক ও তার স্ত্রী সামিয়া দু’জন নিজেদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করেছেন। তবে প্রত্যেকের অনুকূলেই রয়েছে নিজ নিজ পরিবার। সামিয়া সংসার করতে চাইলেও মোসাদ্দেক রয়েছেন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে। ফলে শেষ পর্যন্ত জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে এই নিয়েও চলছে জল্পনা।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে। এজন্যই আমরা আমাদের তদন্ত কার্যক্রমে খানিকটা পরিবর্তন এনেছি।
আমরা যেহেতু দু’পক্ষের সমঝোতা করে দিতে চাই এজন্যই প্রথমে তাদের অফিসে ডাকছি। সেটি ভেস্তে গেলে দুইপক্ষের বাড়িতে গিয়ে কথা বলবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএএএম/জেডএস