ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হৃদয় দিয়ে খেলেছি: মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
হৃদয় দিয়ে খেলেছি: মাশরাফি হৃদয় দিয়ে দেশের জন্য খেলার জন্য ব্যাটসম্যানদের ইশারা করছেন মাশরাফি। ছবি: সংগৃহীত

আরও একটি এশিয়া কাপের ফাইনাল। আরও একবার শেষ পর্যন্ত লড়ে সঙ্গী পরাজয়। এই নিয়ে তিনবার এই ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের সঙ্গে। একটা দলের জন্য এটা সত্যি হতাশার। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে কি কিছুই পায়নি বাংলাদেশ? পেয়েছে, অবশ্যই পেয়েছে। ২২২ রানের পুজি নিয়ে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই, তাও দলের সেরা দুই খেলোয়াড়কে ছাড়াই, এমনটা আশা করেন নি খোদ বাংলাদেশের সমর্থকরাই। এ যে হৃদয় নিংড়ানো লড়াই। দলপতি মাশরাফি ম্যাচ শেষে বললেন এই কথাটাই।

২০১২ আর ২০১৬ সালের পর আবারও এশিয়া কাপে ফাইনালের শেষ বলে হৃদয় ভাঙা হার সত্ত্বেও যে লড়াই করেছে পুরো দল তার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ ও ক্রিকেটবিশ্বের সবাই। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই তাও ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাও স্বল্প পুজি নিয়ে।

দলের এমন লড়াইয়ের প্রশংসা ঝরে পড়লো অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠেও।  

'আমরা হৃদয় দিয়ে খেলেছি। আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছি। '

লিটনের ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইনিংসটি বাদ দিলে ব্যাটিংয়ে ভালো করেনি বাংলাদেশ। বলার মতো আর কোনো ইনিংস আসেনি কারও ব্যাট থেকেই। মাত্র ২২২ রানের পুজি নিয়ে লড়াইটা খারাপ করেনি বোলাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫-২০ রানের আক্ষেপটা রয়েই গেলো। আক্ষেপ আছে আরও একটি, লিটনের ওই বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ে আউট হওয়াটা। যদিও লিটনের বিতর্কিত আউট না হলে কি হতো সেটা এখন ভেবে লাভ নেই।

ব্যাট হাতে লিটন ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারলেন না, এই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতশ্রী দশায় এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাই বলে টপ অর্ডার যেদিন রান পেলো, সেদিনই মিডল অর্ডারের অমন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া! ব্যাটিং ব্যর্থতাই মূলত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।  

অথচ বোলিংয়ে মোস্তাফিজ-রুবেল-মাশরাফি কি দারুণ বোলিংই না করলেন! এই এশিয়া কাপের আসরেই ২৫০-এর কাছাকাছি রান করলেই যেখানে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়, সেখানে ২২২ রান যে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয় তা বলাই বাহুল্য। মাশরাফিও বললেন এই কথাই।

'আমরা ব্যাট আর বলে কিছু ভুল করেছি। আপনি যদি আমাদের বোলিংয়ের দিকে দেখেন, আমরা যখনই ২৪০-এর বেশি রান করেছি সেই ম্যাচই জিতেছি। ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে এটাই চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, বোলাররা দারুণ করেছে। '

এই এশিয়া কাপেই আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে শেষ ওভারে এনে জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কালকের ম্যাচেও হয়তো শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে আনতে পারলে ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারত। কারণ, ৪৯তম ওভারে মোস্তাফিজ এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে ম্যাচটিকে আর এক ওভার দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু হাতে আর কোনো পেসারের ওভার না থাকায় বাধ্য হয়ে বল তুলে দিতে হয় মাহমুদউল্লাহ’র হাতে।  

পার্ট টাইমার হয়েও ম্যাচটিকে শেষ বল পর্যন্ত জিইয়ে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ। যদিও শুরুতে সৌম্য সরকারকেই শেষ ওভারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার দলপতি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে বোলিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ।

কেন শেষ ওভারে স্পিনার এনেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, 'ভারত যেভাবে ব্যাটিং করেছে, মোস্তাফিজকে ৪৯তম ওভারে বোলিং করানো জরুরী ছিল, কারণ তারা প্রতিটি বলেই রান করেছে। তাই ওই সময় একজন স্পিনার আনতে পারিনি। '

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।