বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ যে উচ্চতায় সেখানে যেতে তাদের অগ্রনী ভুমিকাকে অস্বীকার করতে পারবেন না কেউই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই দুই অবিচ্ছেদ্য অংশের নাম সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
ভিন্ন ভিন্ন ইনজুরি বাগরায় এই দুই টাইগার পারফর্মারই আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারবেন না। তামিম ভুগছেন বাঁহাতের কব্জির চোটে। আর সাকিব একই হাতের কনিষ্ট আঙুলের চোটে জর্জর। বিষয়টি স্বাগতিকদের জন্য বাড়তি চাপ। তবে অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন মনে করেন দুই প্রিয় সতীর্থকে পুরো টাইগার শিবিরই সিরিজটিতে মিস করবেন।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) মিরপুরে তিনি বলেন, ‘না আসলে ওভাবে দলে চাপ বেড়ে যায়নি। আমাদের দলে সবাই কিন্তু ম্যাচউইনার প্লেয়ার। অবশ্যই সাকিব ভাই, তামিম ভাই আমাদের মেইন প্লেয়ার ও সেরা পারফর্মার। তারপরেও আপনি আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন। অবশ্যই তাদেরকে আমরা আমরা মিস করব। তবে আমার মনে সবাই তাদের জায়গায় ভাল সুযোগ পাবে। তারাও পারফরম্যান্সের জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে। আমার কাছে মনে হয় না আমাদের খুব একটা সমস্যা হবে। ’
বলা যায়, সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ বা কোন টুর্নামেন্টে বাড়তি চাপে থাকে বাংলাদেশই। সেটা অন্য কোন কারণে নয়, সময়ের বিবর্তনে ওয়ানডে ক্রিকেটে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় এবং আইসিসি র্যাংকিং ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে। যেহেতু টিম বাংলাদেশ এই মুহুর্তে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই আইসিসি র্যাংকিংয়ে এগিয়ে এবং মাত্রই এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত খেলে এসেছে, সেহেতু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়া বেশ সমালোচনায় ফেলবে বাংলাদেশকে।
র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাওয়ার ভয়তো আছেই। পাশাপাশি সিরিজটিতে থাকবে ঘরের মাঠের বাড়তি চাপ। কাজেই সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ে মোকাবেলা চ্যালেঞ্জিংই দেখছেন রুবেল।
বলেন, ‘আমাদের জন্য এই সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং। আর জিম্বাবুয়ের সাথে খেলাটা আমাদের সবসময় বাড়তি চাপ থাকে। জিম্বাবুয়ে খুব ভাল দল। তাই এখানে পারফর্ম করা আমাদের সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট খোয়ানোর বিষয় না। আপনি যদি ওদের বর্তমান পারফরম্যান্স দেখেন বুঝবেন। কোন অঘটন ঘটে গেলে একটা বাড়তি চাপ আসবে বা আসতে পারে। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। আমার মনে হয় আমাদের সবাইকে ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে। ’
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে আগামি ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশে পৌঁছে ১৯ অক্টোবর বিকেএসপিতে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে দু'দল।
এরপর ২১ অক্টোবর মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ও সফরকারীরা। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে গড়াবে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩-৭ নভেম্বর সিলেট আনন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আর এই ম্যাচ দিয়েই নয়োনাভিরাম স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেক হবে। দ্বিতীয় ও শেষটি অনুষ্ঠিত হবে ১১-১৫ নভেম্বর মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এইচএল/ এমকেএম