মূলত সতীর্থদের সেই মনোভাবেই বলীয়ান সাকিব, এবং তাদের অমন লড়াকু মনোভাব তাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে তিনি এবং তামিম না থাকলেও জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুটি সিরিজেই বাংলাদেশ জিততে সক্ষম। এবং তাদের বদলি হিসেবে যারা দলে ডাক পেয়েছেন তারা সুযোগটি বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হবেন বলেই ধারনা তার।
রোববার (১৪ অক্টোবর) মেলবোর্নে আঙুলের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এসব কথা বলেন।
সাকিব বলেন, ‘ইনজুরি আসলে খেলার অংশ। এতে সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে। সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। আমি ও তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারে, তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণ দেখি না। ’
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে আগামি ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশে পৌঁছে ১৯ অক্টোবর বিকেএসপিতে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে দু'দল। এরপর ২১ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ও সফরকারীরা। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে গড়াবে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই দিবা-রাত্রির।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩-৭ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। আর এই ম্যাচ দিয়েই নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেক হবে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১১-১৫ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ১৫ নভেম্বর সিরিজের শেষ টেস্টের দিনই দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম