বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্বকাপের ট্রফি মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে এলে দুপুর ১২টায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামস্থ বিসিবি একাডেমির সামনে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন তার সতীর্থরা। কিন্তু সেখানে তিনি আসতে পারেননি।
পরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ট্রফি গেলেও সেখানে যাননি তামিম। হয়তো আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে স্কোয়ডে নেই বলেই সেদিকে আর পা বাড়ান নি তিনি। পাশাপাশি হাতের ব্যান্ডেজের অস্বস্তি তো আছেই। কিন্তু তাই বলে ট্রফি ছোঁয়া তো তিনি মিস করতে পারেন না। তাছাড়া লাল-সবুজের ব্যাটিং স্তম্ভ ট্রফি ছুঁয়ে দেখবেন না তাই বা কি করে হয়?
সেই ভাবনা থেকেই হয়তো ড্রেসিং রুমের সামনে তার জন্যই ট্রফিটি নেয়া হয়। আর সেখানেই স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফিটি একহাতে তুললেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ট্রফিটি সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে। ১৯ অক্টোবর ট্রফি চলে যাবে সিলেটে। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তা সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এরপর ২০ অক্টোবর সেখান থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ট্রফি নেয়া হবে। পরদিন বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণে বের হবে বিশ্বকাপের ট্রফি।
গেল ২৭ আগস্ট ভ্রমণে বের হয় বিশ্বকাপ ট্রফি। নয় মাসে মোট ২১টি দেশের ৬০টি শহর ভ্রমণ করবে এটি। ভ্রমণের অংশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে আছে এটি। বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে নেপাল, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি হয়ে আগামি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আসন্ন বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে পৌঁছাবে ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম