এমন মন্ত্রই দিলেন দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মনোবিদের দায়িত্ব পাওয়া আলী আজহার খান। বিসিবি কর্তৃক এক সপ্তাহের জন্য নিয়োগ পাওয়ার পর বুধবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথম দিনের মতো সেশন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ছিল তার দ্বিতীয় দিনের সেশন। মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সেই সেশন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আলী আজহার বলেন, ‘তীরে পৌঁছানো সম্ভব। আমরা সব দেশকেই হারাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এই বিশ্বাসটা যখন আরও শক্ত হবে, তখন ধারাবাহিকতা আরও বাড়বে। আমরা টুর্নামেন্ট গুলোতে যখন কাছাকাছি চলে আসি, তখন কিন্তু প্রত্যাশার চাপ অনেক বেড়ে যায়। তখন এই মেন্টাল টাফনেস, মেন্টাল মাসল গুলো স্ট্রং না হলে আমরা সেটাকে মেন্টেইন করতে পারি না। যদি আমরা ওই মেন্টাল মাসলটা ডেভলপ করি, তাহলে এটা সম্ভব। ’
প্রথম দফায় আলী টিম বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করেছেন ২০১৪ সালে। ঘরে ও ঘরের বাইরে টানা বিপর্স্ত দলটিকে আত্মবিশ্বাসী করতে তাকে সে সময়ে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর কেটে গেছে ৩ বছর। তবে নাতিদীর্ঘ এই সময়টিতে সাবেক শিষ্যরা বেশ বদলেছে বলে মত তার।
‘আগের সঙ্গে এখনকার তুলনা করলে বলব, তারা অনেক বেশি বদলে গেছে। এখন তাদের ভেতর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস রয়েছে, মানসিক দিক থেকেও অনেক শক্ত হয়েছে তারা। কিন্তু আমরা এখন এটাকে খুব ক্লোজ মার্জিনে এসে এটাকে ধরে রাখতে পারি না। আসলে এই পর্যায়ে আসাও অনেক কোয়ালিটির ব্যাপার। তারা যেমন এই পর্যায়ে আসছে, তীরে আসার পর নৌকার ওজন যখন বেশি হয়ে যাচ্ছে, ওই সময়টা আর রাখতে পারছে না। আমাদের সুপ্ত প্রতিভাকে আরও বেশি বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে সবকিছু মেন্টেইন করতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম