প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়েকে বেশ সমীহ করছে বাংলাদেশ। কারণ সম্প্রতি রোডেশিয়ানদের দলে ফিরেছে তাদের অনেক সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
বিশ্বকাপের বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে এই সিরিজগুলো থেকেই দলের অবস্থা বোঝা যাবে জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি এখান থেকেই আমাদের পরিকল্পনা শুরু করে দেয়া উচিৎ। প্রতিটা আন্তর্জাতিক ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। আমি বলবো জিম্বাবুয়ে তাদের সেরা দলটা আসায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। ’
বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় দলে পঞ্চপান্ডবের অবস্থান নিশ্চিত, যদি না কেউ ইনজুরিতে থাকেন। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, লিটন দাসরাও আছেন চূড়ান্ত পরিকল্পনায়। অধিনায়কের মতে, নতুন আসা ফজলে রাব্বি বা দীর্ঘদিন পর দলে আসা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও থাকতে পারেন বিশ্বকাপ ভাবনায়।
তবে দলের প্রস্তুতি যতই ভালো হোক, মিরপুরের উইকেট কিছুটা আনপ্রেডিক্টেবল। এখানে কোনো পরিকল্পনাই শতভাগ কাজ করে না। তবে যেহেতু দীর্ঘদিন থেকে এই উইকেটেই খেলছে বাংলাদেশের ক্রিকাটাররা। তাই ম্যাচে কোনো অজুহাত মানতে নারাজ অধিনায়ক।
বলেন, ‘আমরা সবাই জানি মিরপুরের উইকেট কেমন আচরণ করে। আগে থেকেই জানি এখানে ব্যাটিং করা কঠিন হবে। ভালো উইকেট আশা করছি তবে পেসারদের চেয়ে এগিয়ে রাখছি স্পিনারদের। এই উইকেটে ২৫০ বা ২৬০ রান করতে পারলে তাদের পক্ষে ম্যাচ জেতাটা সহজ হয়ে যায়। তবে এই উইকেটকে আমরা আনপ্রেডিক্টেবল বলি। শতভাগ পরিকল্পনা এখানে পূরণ হয় না। তবে সেহেতু আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানেই খেলছি, তাই কারো কাছ থেকে কোনো অজুহাত মেনে নেওয়া যায় না। ’
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস