রোববার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের ই বাংলায় ‘ধ্বংসস্তুপের’ মধ্য থেকে নান্দনিক সেঞ্চুরিটি করেই দেখা গেলো শিশু সন্তানকে কোলে তুলে যেভাবে দোল দেওয়া হয়, সেভাবেই ইমরুল হাত দোলাচ্ছেন। পরে তার এমন ব্যতিক্রমী উদযাপনের কারণ জানা গেলো ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে।
ইমরুল বলেন, আমার বেবি হয়েছে। ও-কে সেঞ্চুরিটা উৎসর্গ করেছি।
বলা বাহুল্য সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ইমরুল ১৪০ বলে ১৪৪ রানের যে ঝলমলে ইনিংসটি খেলেছেন, সেটা তার ১০ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা। সেইসঙ্গে এটি বাংলাদেশের এ যাবতকালের সব ব্যাটসম্যানদের ভেতরে যুগ্মভাবে দ্বিতীয়। গেলো মাসে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমও ১৪৪ রান করেছিলেন। আর তাদের চাইতে ১০ রান বেশি করে অর্থাৎ ১৫৪ রান নিয়ে নাম্বার ওয়ান পজিশনটি ধরে রেখেছেন তামিম ইকবাল।
ইমরুলের এই ১৪৪ রানের হাত ধরেই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পায় ৮ উইকেটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। জবাবে ২৭২ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে ৫০ ওভারে সংগ্রহ করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান। দিন শেষে ২৮ রানের দাপুটে জয় ধরা দেয় মাশরাফি শিবিরে।
ওয়ানডেতে এর আগেও দু’টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল। একটি ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (১১২)। আর অপরটি ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (১০১)। কিন্তু সে দু’টি ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি বাংলাদেশ। এবারই প্রথম, তিনি সেঞ্চুরি করলেন, দলও জিতলো। প্রথমের আনন্দ সবসময়ই ব্যতিক্রম। যা অন্যান্যদের মতো ছুঁয়ে গেছে তাকেও।
ইমরুল আরও বলেন, আপনি সেঞ্চুরি করে কিংবা অন্যরকম একটা ইনিংস খেলে যদি দলকে জেতাতে পারেন, তাহলে খুব ভালো ফিল হয়। আমার কাছে মনে হয় আজকে সেঞ্চুরি করেছি এবং একটা ক্রুসাল টাইম থেকে ইনিংসটাকে বিল্ডআপ করেছি। আমাদের একটা ভালো স্কোর হয়েছে। টিমের রান হয়েছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের বিষয় এবং আমার খুশিটা দলের সবাই সেলিব্রেট করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এইচএল/টিএ