করাচীতে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) গ্রুপ ‘বি’র ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ঠিক ১০০ রান করেন মোসাদ্দেক।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মিজানুরের (৮) উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে এই ধাক্কা সামাল দেন জাকির হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে হংকংয়ের বোলার তানভির আহমেদের বলে ওয়াকাস খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে জাকির বিদায় নেন।
জাকিরের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে আর ১০ রান যুক্ত হতেই বিদায় নেন শান্তও (৩৬)। তবে এখান থেকেই মোসাদ্দেকের লড়াই শুরু। দুর্দান্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করে সঙ্গী ইয়াসির আলীকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরিও হাঁকান মোসাদ্দেক। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি বাংলাদশকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যায়।
৮৬ বলে ১০০ রান করেই মোসাদ্দেক বিদায় নেন হংকংয়ের বোলার এহসান নওয়াজের বলে। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির আলী। ৪৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করে ইয়াসির বিদায় নেন। এরপর বাকিদের ছোট ছোট ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
জবাবে হংকংয়ের ওপেনার নিজাকাত খান ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর হায়াৎ প্রায় ম্যাচ বের করে নিয়েছিলেন। এই দুজনে মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। কিন্তু এদিন বল হাতে তানভির ইসলাম ও নাঈম হাসানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং হংকংয়ের রানের চাকা বেশি দূর এগুতে দেয়নি। নিজাকাতকে (৯২) বোল্ড করেন নাঈম। আর বাবরকে (৯১) শান্ত’র ক্যাচ বানান খালেদ আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ২৫৮ রান তুলতে সক্ষম হয় হংকং।
বল হাতে সবচেয়ে সফল অবশ্য সেই মোসাদ্দেকই। ৪ ওভার বল করেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ২ উইকেট পেয়েছেন খালেদও। কিন্তু ১০ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৬৯ রান। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। উইকেট না পেলেও ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে বড় ভূমিকা রেখেছেন তানভির।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল গুনে ৯৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আমিরাতের ছুঁড়ে দেওয়া ২৬৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭০ রানে অলআউট হয়েছিলেন মোসাদ্দেক-শান্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএইচএম