ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাসির নৈপুণ্যে আবাহনীকে হারিয়ে সুপার সিক্সে শেখ জামাল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
নাসির নৈপুণ্যে আবাহনীকে হারিয়ে সুপার সিক্সে শেখ জামাল আবাহনীকে হারিয়ে সুপার সিক্সে শেখ জামাল

ব্যাটে-বলে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজ দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার সিক্সে নিয়ে গেলেন নাসির হোসেন। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে দলটি আবাহনী লিমিটেডকে ৩ উইকেটে হারায়। ফলে আসরের পঞ্চম দল হিসেবে সুপার সিক্সে গেল শেখ জামাল। যদিও আবাহনী আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয় আবাহনী লিমিটেড। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে মোসাদ্দেক হোসেনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২১১ রান করে।

জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ও ৭ বল বাকি থাকতে ২১৫ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

২১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য মাত্র ১২ রানে টপঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান হাসানুজ্জামান ও ইলিয়াস সানীকে হারায় শেখ জামাল। তবে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও আনুসতাপ মজুমদার প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। তারা ৬৯ রানের জুটি গড়েন। পরে ইমতিয়াজ ব্যক্তিগতন ৩০ রানে সানজামুল ইসলামের বলে এলবির শিকার হন।

ভারতীয় ব্যাটসম্যান আনুসতাপ মজুমদার হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি দলীয় সর্বোচ্চ ৮২ বলে ৫৬ রান করেন। তবে অধিনায়ক সোহান ব্যক্তিগত শূন্য রানে সানজামুলের বলে বোল্ড হন।

শেষের ব্যাটসম্যানরাই মূলত শেখ জামালকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন। নাসির হোসেনর ৫৬ বলে ৪৫ রানের পর তানবীর হায়দার ৪৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। এছাড়া জিয়াউর রহমানের ১৬ ও এনামুল হকের অপরাজিত ১৫ রান বেশ কার্যকরী ছিল।

আবাহনী বোলারদের মধ্যে সাইফ, সানজামুল ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট পান। নাজমুল ইসলাম নেন একটি উইকেট।

টসে হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জহুরুল ইসলাম অমি, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তরা ব্যর্থ হন শেখ জামাল বোলারদের দাপটে। তবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন মোসাদ্দেক। ধীর গতির ব্যাটিং হলেও পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ১৩৯ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আর সেঞ্চুরি করে আবাহনীর এই দলনেতা আসছে বিশ্বকাপে আগাম বার্তাই দিয়ে রাখলেন নির্বাচকদের।

দলের হয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ৩৩ রান করেন। এছাড়া শেষ দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ২৬ ও মাশরাফি বিন মর্তুজার ২০ রানে ২শ’ রানের কোটা পার করে আবাহনী।

দারুণ ব্যাটিং করা নাসির এর আগে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন। ইলিয়াস সানী ২টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল ও জিয়া একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন।

ব্যাটে-বলে দারুণ করা নাসির ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।

লিগে ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এলো শেখ জামাল। সমান ম্যাচে আবাহনী ৮ জয় ও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে। শীর্ষে থেকে লিজেন্ডন্স অব রূপগঞ্জ ২০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।