ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এলগার-ডি ককের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের দারুণ প্রতিরোধ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৯
এলগার-ডি ককের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের দারুণ প্রতিরোধ ডি কক ও এলগার, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘুড়ে দাঁড়ানোর দুই নায়ক/ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় (৫০২/৭ ডি.) গড়েছিল ভারত। এরপর স্বাগতিক দলের স্পিন দাপটে সেই রানপাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ার পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ডিন এলগার আর কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে সফরকারী দল।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিশাখাপত্তমে তৃতীয় দিনের খেলায় পাহাড় সমান চাপ নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ডিন এলগার। আগের দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অশ্বিন ও জাদেজার দাপুটে স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি এইডেন মার্করাম-থেউনিসরা।  

তৃতীয় দিনের শুরুটাও ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। দলীয় ৬৩ রানে ‘নাইটওয়াচম্যান’ টেম্বা বাভুমাকে দ্রুতই বিদায় করেন ইশান্ত শর্মা। কিন্তু এরপর অসাধারণ এক প্রতিরোধের গল্প লিখেছেন এলগার, ফাফ ডু প্লেসি ও ডি কক। এলগার তো একটা দারুণ কীর্তিও গড়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারকে।  

টেস্ট অভিষেকে ‘পেয়ার’ (কোনো টেস্টের দুই ইনিংসে শুন্য রানে আউট হওয়া) পাওয়া ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন এখন এলগার। ২০১২ সালে পার্থে অজিদের বিপক্ষে ওই লজ্জায় ডুবলেও এরপর তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি। এই তালিকায় সবার শীর্ষে আছেন ইংলিশ কিংবদন্তি গ্রাহাম গুচ। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ২০টি। ১৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক মারভান আতাপাত্তু। এলগারের চেয়ে এক সেঞ্চুরি কম নিয়ে চতুর্থ স্থানে সাঈদ আনোয়ার।

এলগারের অসাধারণ ইনিংসে প্রথম সঙ্গী হন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসি। দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৫ রান। ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ডু প্লেসি বিদায় নিলে ডি কক এসে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন। এলগারকে সঙ্গে নিয়ে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান যোগ করেন ১৬৪ রান।  

দলকে ৩৪২ রানে রেখে বিদায় নেওয়ার আগে এলগারের ব্যাট থেকে আসে ১৬০ রানের ইনিংস। ২৮৭ বলের এই ইনিংসটি ১৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো। সেঞ্চুরির দেখা পান ডি ককও। তবে ইনিংসটি বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১৬৩ বল খেলে তার ১১১ রানের ইনিংসটি ১৬টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো।  

দুই সেঞ্চুরিয়ান বিদায় নেওয়ার পর ভার্নন ফিল্যান্ডার দ্রুত বিদায় নিলেও দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে পাড়ি দেন দুই টেল এন্ডার সেনুরান মুথুস্বামী ও কেশব মহারাজ। ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান নিয়ে দিন শেষ করা প্রোটিয়ারা এখনও ১১৭ রানে পিছিয়ে আছে।  

ভারতের হয়ে বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন অশ্বিন। ২ উইকেট গেছে জাদেজার দখলে। বাকি উইকেটটি ইশান্তের। বলে হাতে জাদেজা একটি রেকর্ড গড়েছেন। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ২২০টি টেস্ট উইকেট  তুলে নেওয়ার কীর্তি এখন তার দখলে।

এর আগে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি ও রোহিত শর্মার ওপেনার হিসেবে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫০৭ রানের পাহাড় করে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।