আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২০৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জয়ের জন্য উইন্ডিজের দরকার ছিল ১৩ রান। ব্যাটিংয়ে ছিলেন অবসর ভেঙে চার বছর পর ক্যারিবীয়নদের জাতীয় দলে ফেরা ডোয়াইন ব্রাভো ও সেরফেনে রাদারফোর্ড।
পরের বলে ছ্ক্কা মেরে জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন ব্রাভো। পরের বলে নেন দুই রান। চতুর্থ বলে কোনো রান করতে না ব্রাভো পঞ্চম বলে ধরা পড়েন গ্যারেথ ডিলানির হাতে। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় উইন্ডিজদের জয়ের স্বপ্ন। লিটলের শেষ বলে কোনো রান করতে পারেননি নতুন ব্যাটিংয়ে নামা হেইডেন ওয়ালশ। উইন্ডিজরা ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে থেমে যায় ২০৪ রানে।
ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হলেও বল হাতে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন ব্রাভো। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
এর আগে গ্রানাডার জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ২০৮ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৭ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ওপেনার পল স্টার্লিং। তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার কেভিন ও ব্রায়ান। এই অভিজ্ঞ আইরিশ ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৮ রান।
উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে পাওয়ার প্লে’তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। এর আগে আইরিশদের বিপক্ষেই রেকর্ডটি গড়েছিল নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ সালে ডাচরা পাওয়ার প্লে’তে ৬ উইকেটে করেছিল ৯১ রান।
এছাড়া স্টার্লিং-ব্রায়েন জুটি গড়েছেন আরেকটি রেকর্ডও। উদ্বোধনী জুটিতে ১২.৩ ওভারে ১৫৪ করেন দুজন। যা টি-টোয়েন্টিতে ক্যাবিবিয়ানদের বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ জুটি। এই নিয়ে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তৃতীয় জয় পেলো আয়ারল্যান্ড। কেনিংসটনে শেষবার টি-টোয়েন্টি জিতেছিল তারা। এছাড়া ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে একমাত্র ও প্রথম তারা উইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইউবি