পাকিস্তানে পৌঁছে একদিন (০৬ ফেব্রুয়ারি) অনুশীলন করেই পর দিন (০৭ ফেব্রুয়ারি) টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে মুমিনুল হকের দল। সেখানে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা অনুশীলনের সুযোগ নেই।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা প্রস্তুতির জন্য ভালো নয়। আপনি সবসময় কোনো টেস্ট ম্যাচে খেলার আগে কমপক্ষে সাত বা আট দিন আগে সেখানে যেতে চাইবেন। সেখানে একটি ওয়ার্ম-আপ গেম খেলুন, কয়েক দিনের অনুশীলন করুন তবেই টেস্ট ম্যাচের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি, তবে এটি নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। ছেলেরা এখানে অনুশীলন করবে এবং খেলবে। আমরা বুধবার সকালে সেখানে পৌঁছে যাব, বৃহস্পতিবার অনুশীলন করব এবং শুক্রবার খেলব। সুতরাং এটি মোটেও আদর্শ প্রস্তুতি নয় টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য। ’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো তাদের পেস বোলারদের মোকাবিলা করা। আমাদের দেশে এমন উইকেটে খেলা হয় না বলে সেখানে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরস্থিতির সামনে পড়তে হবে বলে মনে করেন প্রধান কোচ।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটাররা এখানে যে উইকেটে খেলছে তাতে তেমন গতি এবং বাউন্স নেই। আমি নিশ্চিত রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে কিছুটা গতি ও বাউন্স থাকতে পারে। ছেলেদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের কেউ কেউ নেইল ম্যাককেঞ্জির সাথে ভালো কাজ করছেন, যিনি (ক্রিকেটার) টেস্ট খেলে তাদের সঙ্গে কিছু প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। অবশ্যই ক্রিকেটাররা জানেন যে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর তাদের কিছু ভালো পারফরম্যান্স দিতে হবে। ব্যাটিং নিয়ে আমাদের আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও যাতে রান করার পথ খুঁজে বের করা যায়। ’
মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে পাকিন্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
আরএআর/এমএমএস