ব্রেন্ডন টেইলর-শন উইলিয়ামসদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন। দুজনই পেয়েছিলেন শতকের দেখা।
তাদের ৯২ রানের ভয়ঙ্কর উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। সতীর্থকে হারালেও ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে নিয়ে সিকান্দার রাজার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
তামিম-লিটন ফিরলেও বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করে ক্রিস এমপোফুর বলে সাজঘরে ফেরেন মুশি। তবে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান সৌম্য। ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত ব্যাট করে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তারমধ্যে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে দলীয় ডাবল সেঞ্চুরি এনে দেন তিনি।
৩২ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।
ম্যাচটি শুরু হয় সোমবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায়, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে দাপট দেখালেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্য পরিসংখ্যান কথা বলছে না বাংলাদেশের পক্ষে। ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টাইগাররা গত ৫ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে চারটিতে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে চার জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
তবে দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে দু’দল ১১ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জয় ৪ ম্যাচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
ইউবি