শুক্রবার (১৩ মার্চ) ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল’র ১৩তম মৌসুম।
তবে যদি কোনো ক্রীড়া আসর বন্ধ রাখার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে যেন দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে খেলার আয়োজন করা হয় এমন নির্দেশনাও দিয়েছিল ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে আইপিএল নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াতে পারতো। কিন্তু তাতে আইপিএল’র জৌলুশ এবং ব্যবসা দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার মুম্বাইয়ে বিসিসিআই’র হেডকোয়ার্টারে জয় শাহ’র সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বসেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী।
যদিও আইপিএল’র গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক বসার কথা ছিল শনিবার (১৪ মার্চ)। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেখানে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে সারা দেশেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।
তবে দেরিতে শুরু হলেও আইপিএল’র খেলা দর্শকশুন্য মাঠে হওয়ার সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সেক্ষেত্রে বিসিসিআই হয়তো আইপিএল’র ফরম্যাটে পরিবর্তন আনতে পারে। হয়তো আসরের ব্যাপ্তি কমে যেতে পারে কিংবা অল্প কিছু স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে যাতে অযথা ভ্রমণ এড়ানো যায়। এরইমধ্যে আইপিএল’র ম্যাচ আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। অন্যান্য রাজ্যও একই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এমএইচএম