শনিবার (২৮ মার্চ) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে এক ভিডিও আপলোড করেন ৩৪ বছর বয়সী তারকা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সেই ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদেরও নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি। আর এছাড়া মোটামুটি এখন সবাই জানি, আমরা যেন ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। একদম প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া যেন আমরা বাইরে না যায়। আর যদি আমরা বাইরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয় তবে যেন মাস্ক ব্যবহার করি। সর্দি-কাঁশি-হাঁচি ইত্যাদি যদি এসে থাকে তখন টিস্যু না থাকলে যেন আমরা কনুই ব্যবহার করি। কাঁশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় যেন আমরা মুখ ঢেকে রাখি। এই সমস্ত নিয়মাবলী যেন আমরা মেনে চলি এবং এই মুহূর্তে যেটা বড় কথা বা সময়ের দাবি তা হচ্ছে, আমরা যেন বাসায় থাকি। এটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক’।
করোনা আক্রান্ত থেকে শুরু করে এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্সরা। তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আরেকটা জিনিস না বললেই নয়। আমাদের ডাক্তার-নার্সরা এবং এই মুহূর্তে যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, করোনা ভাইরাসের মতো এই দুরারোগ্য রোগের সময়ে যেভাবে উনারা এগিয়ে আসছেন এবং দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন তার জন্য আমি আমার মন থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা এই মহৎ কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন। ’
এছাড়া করোনা রোধে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন অফিস বন্ধ থাকায় কষ্টে পড়েছে দিনমজুররা। বেকার হয়ে পড়েছে অসংখ্য লোক। সেসব শ্রমজীবী মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান ছিল বাংলাদেশের এই মিডলঅর্ডর ব্যাটসম্যানের কণ্ঠে, ‘আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, আমরা যারা শ্রমজীবী মানুষ আছি, যারা এখন বেকার হয়ে পড়ছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোটা অনেক বেশি জরুরি। আমরা চেষ্টা করবো, যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার এবং তাদেরকে সাহায্য করার। তাহলে এই জিনিসগুলো আমরা কিছুদিন মেনে চলি। সবাই নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একত্রে কাজ করি। ইনশাল্লাহ, আমরা এ কঠিন সময় পার করবো এবং ভালো সময় খুব দূরে নয় এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে মিলে চেষ্টা করি দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার। সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। ’
বাংলাদেশে সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
ইউবি/এমএমএস