ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে প্রস্তুত বিসিবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২০
ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে প্রস্তুত বিসিবি বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী

করোনা ভাইরাসের শঙ্কা পেছনে ফেলে স্বাস্থবিধি মেনে অনুশীলন শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। আগামী মাসে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজও খেলবে। অবধারিতভাবে তারাও অনুশীলনে ফিরছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কবে অনুশীলনে ফিরবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে টাইগারদের অনুশীলনে ফেরানোর জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ।

বুধবার (জুন ০৩) বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন সবধরনের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তাই চাইলে যে কোনো সময়ই অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে।

দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘ট্রেনিং সাধারণত দুটো কারণে করা হয়। একটা হচ্ছে কোনো টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখে এবং আরেকটা হচ্ছে ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। আমরা এখনো জানি না যে কোনো টুর্নামেন্টকে রেখে পরিকল্পনা আছে কিনা। তো আমরা ধরে নিতে পারি যে ফিটনেসের জন্য অনুশীলন করা হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন ফিটনেসের জন্য যদি হয় তবে আমরা ফিটনেসের উপর জোর দেব এবং স্কিলের উপর কম জোর দেব। কেননা দুই-তিন মাস ধরে কেউই তেমনভাবে ফিটনেস ট্রেনিং করতে পারেনি অথবা এক এক জন এক এক রকমভাবে করেছে যার মধ্যে কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। তো আমরা চেষ্টা করব সপ্তাহখানেক ফিটনেস এর উপর নজর দিয়ে সবাইকে একটা স্ট্যান্ডার্ড এ নিয়ে আসার জন্য, তারপর ধীরে ধীরে স্কিল ট্রেনিংয়ের দিকে যাব, এটা হচ্ছে প্রাথমিক বিষয়। ’

ট্রেনিং শুরু হলেও অনেক নিয়মকানুন মানতে হবে সবাইক। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা দুই ধরনের পরিকল্পনা করছি। একটা হচ্ছে ওয়ান টু ওয়ান মানে সোলো (একক) ট্রেনিং। একজন একজন করে ট্রেনিং করবে, একজন আসবে, ট্রেনিং করবে চলে যাবে। পরে আরেকজন আসবে এভাবে আমরা একটা প্ল্যানিং করেছি। ’ 

‘তো আমাদের মাঠ আছে তিনটা। একাডেমির মাঠ রয়েছে, স্টেডিয়ামের মাঠ রয়েছে আর ইনডোরের মাঠ রয়েছে। তাই আমরা তিনজনকে দিয়ে শুরু করতে পারি তিন জায়গায়। এভাবে হলে সবাই এক ঘন্টায করে ট্রেনিং করলে দিনে আমরা প্রায় ১৫ জনকে ব্যবহার করতে পারছি, তো সেটা একটা প্ল্যান করেছি আমরা,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি একটা জায়গায় ট্রেনিং করি তাহলে সে ক্ষেত্রে আমরা দিনে ৫ থেকে ৬ জনের বেশি ট্রেনিং করতে পারবো না। এটা আবার নির্ভর করবে আমরা কতজনকে ডাকছি তার ওপর। প্রথমে পেস বোলারদের ডাকবো নাকি ব্যাটসম্যানদের ডাকবো এগুলোর জন্য আমরা আলাদাভাবে চিন্তা করে রেখেছি। কারণ প্রত্যেকটার সঙ্গে আমাদের গ্রাউন্ডসম্যান জড়িত, সুইপার জড়িত, ক্লিনার জড়িত। ওদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য আমরা ভাগ ভাগ করে প্ল্যানগুলো করে রেখেছি। যেটা আমাদেরকে বলবে সেটাই যেন আমরা উপস্থাপন করতে পারি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।