বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের আক্ষেপের কথায় জানালেন সোহাগ গাজী। ২০১৪ সালে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে বাদ পড়েন দল থেকে।
মূল সমস্যাটা কোথায় বা কেন এমন হলো এই প্রসঙ্গে সোহাগ গাজী বলেন, ‘আসলে পারফরম্যান্সের জন্য কিন্তু আমি দল থেকে বাদ পড়িনি। বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময় হঠাৎ করেই একটা ঘটনা (অবৈধ বোলিং অ্যাকশন) আমার সঙ্গে ঘটে। বোলিং অ্যাকশন ঠিক করে আবার ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা তিনটি সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলাম। তারপরও টেস্ট দলে জায়গা হয়নি। কারণ হাথুরুসিংহের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো ছিলো না। দলে না নেওয়ার জন্যই তখন কারণ দেখানো হয়, আমি অনুশীলনে অমনোযোগী। আসলে এগুলো ভিত্তিহীন। আমি মনে করি, কোনো ক্রিকেটারকেই হুট করে সবকিছুর বাইরে ফেলে দেয়া ঠিক না। ’
পরিসংখ্যানের হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সোহাগ গাজীর ক্যারিয়ারটা দুর্দান্ত। ৯১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৩০টি উইকেটে নিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে রয়েছে ৮টি সেঞ্চুরি। তাই এই অফ স্পিনার মনে করেন, বয়সের চেয়ে পারফরম্যান্সকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে হলে আপনাকে পারফরম্যান্স করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় ভালো করি আর ভালো করেই দলে ফিরতে হবে আমি মনে করি। জাতীয় দলে ফেরার জন্য বয়সের চেয়ে পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখা উচিত অবশ্যই। আমি মনে করি, পারফরম্যান্সের গুরুত্ব বেশি। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, ফিটনেস একটা বড় বিষয়। আর যদি পারফর্ম করি তবে ফিটনেস এমনিতেই ভালো থাকবে। কারণ পারফর্মের জন্য ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। ’
সোহাগ গাজী মনে করেন জাতীয় দলে একজন ক্রিকেটারকে প্রমাণের জন্য সুযোগ দেওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারকে বুঝতে হবে এবং সময় দিতে হবে। সাকিব ভাই (সাকিব আল হাসান) পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছেন বলেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি কিন্তু একদিনে বিশ্বসেরা হননি। সবাই জানে উনি কি করতে পারবেন। এজন্য আমি বলবো, একজন ক্রিকেটারকে দ্বিতীয়বার দলে সুযোগ দিতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার নিয়মিত পারফর্ম করবে তখন তাকে প্রমাণের জন্য পুনরায় সুযোগ দিতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
আরএআর/ইউবি