বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (২৫ অক্টোবর)। তার আগে টুর্নামেন্টে ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রায় সব ম্যাচেই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রতিটি ম্যাচের প্রায় প্রতিটি ইনিংসের শুরুতেই ২-৩টি উইকেট পড়েছে। তবে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ব্যাটসম্যানদের এই রান না পাওয়াটাকে সমস্যা মনে করছেন না।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ। টুর্নামেন্টে তিন দলের সব ওপেনারের ব্যাটে রান নেই। অভিজ্ঞ লিটন দাস, সৌম্য সরকার থেকে শুরু করে তরুণ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান সবাই ছিলেন ব্যর্থ।
জাতীয় দলের কোচ মনে করেন, দীর্ঘ বিরতিতে ব্যাটসম্যানরা ঠিক মতো অনুশীলন করতে পারেননি। এছাড়া বোলাররাও বেশ ভালো বল করেছেন।
রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, 'আমি খুব খুশি। আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টটি দারুণ মনোযোগ দিয়ে খেলেছে সবাই। আপনি দেখেছেন, মাঠে ছেলেরা কতটা চেষ্টা করেছে, বোলাররা নিংড়ে দিয়ে বোলিং করেছে। অবশ্যই, আমরা আরও কিছু রান পেলে দারুণ হতো। তবে আপনাকে এটাও বুঝতে হবে যে, ছেলেরা প্রায় সাত মাস ধরে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেনি। কয়েকজন ব্যাটসম্যান অনুশীলনে যোগ দিয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর এক বা দুই সপ্তাহ আগে। '
করোনার এই দীর্ঘ বিরতির পর যে ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পেরেছে সেটাই বড় বিষয় কোচের কাছে। উইকেটগুলো বোলারদের পক্ষে ছিল এবং বোলাররা সেটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে বলে মনে করেন টাইগারদের এই প্রোটিয়া কোচ।
তিনি বলেন, 'কোচ হিসেবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ছেলেরা কিছু ম্যাচ খেলছে। ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় অনুশীলন আর নেই। তাছাড়া প্রতিটা ম্যাচই প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। উইকেটগুলো (রান তোলার ক্ষেত্রে) সহজ ছিল না। কিছু তরুণ ক্রিকেটার দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুশফিকু, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ), তামিমের মতো কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার রান পেয়েছে। মূল বিষয়টা হলো ছেলেরা কিছু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচ পেয়েছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
আরএআর/ইউবি