ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশ ২৪৬, মুশফিক ১২৫

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
বাংলাদেশ ২৪৬, মুশফিক ১২৫ দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক/ছবি: শোয়েব মিথুন

বিপর্যয়ের মুখে একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত এই ইনিংসে ভর করে ২৪৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

কিন্তু শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি তামিমবাহিনী।

মাঝে বৃষ্টি বাধায় স্থগিত হওয়ার পর খেলা শুরু হলে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। সেঞ্চুরির ইনিংসটি তিনি মাত্র ৬ চারে সাজিয়েছেন। বল খেলেছেন ১১৪টি। অপরপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে নিজেকে অনেকটা সময় খোলসে গুটিয়ে রাখেন তিনি। মনোযোগ দেন স্ট্রাইক বদলের দিকে। ফলে উইকেট হারালেও খুব বেশি বিপর্যয়ে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। কিন্তু শেষদিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালে আড়াইশ ছোঁয়া হয়নি স্বাগতিকদের।  অলআউট হয়ে যায় ৪৮.১ ওভারেই।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৫ মে) খেলা শুরু হয় দুপুর ১টায়। এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে অভিষেক হয় শরিফুল ইসলামের। এছাড়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের বদলে একাদশে জায়গা পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৩ রান করা আক্রমণাত্মক তামিম দ্বিতীয় ওভারে আসা দুশমন্থ চামিরার প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন। একই ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন সাকিবও।

তামিম-সাকিবের দ্রুত বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন লিটন দাস। তবে ১২তম ওভারে এসে ধৈর্য হারান এই ওপেনার। লক্ষণ সান্দাকানের সাধারণ মানের বলটি শর্টে ফিল্ডিং করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে তুলে দেন। ৪২ বলে ২টি চারে ২৫ রান করেছেন লিটন।

লিটন বিদায় নেওয়ার পর মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক। সান্দাকানের বলে লেগ সাইডে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরার তালুবন্দি হন মোসাদ্দেক (১০)। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  

এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে স্কুপ করতে গিয়ে সান্দাকানের শিকার হন তিনি। ব্যাটিংয়ে থাকা মুশফিক অবশ্য ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরির দেখা পান।  

রিয়াদের বিদায়ের পর আরও একবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দুই ওভারের ব্যবধানে বিদায় নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (১০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০)। এমন চাপের মাঝে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিক। ধীরেসুস্থে খেলে তুলে নেন সেঞ্চুরিও। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৪ রান।

ইনিংসের শেষদিকে বৃষ্টি হানায় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। ফের খেলা শুরুর পর মুশফিক সেঞ্চুরি পেলেও টেল এন্ডারদের কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। এর মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও মেন্ডিসের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন। ৩০ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।

মুশফিক সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। সেঞ্চুরির আগে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ৬টি, পরে আরও ৪টি। তবে ৪৮তম ওভারে শরিফুল (০) বিদায় নেওয়ার পরের ওভারের প্রথম বলেই অফ সাইডে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বান্দারার হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় মুশফিকের ১২৭ বলে ১২৫ রানের লড়াকু ইনিংস।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার চামিরা ও সান্দাকান ৩টি করে, উদানা ২টি এবং হাসারাঙ্গা ১টি উইকেট নিয়েছেন।

প্রথম ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতবে টাইগাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।