একসময় ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তুলে ফেলা জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দিলেন না সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের স্পিন ঘূর্ণিতে আর মাত্র ৫১ রানে যোগ হতেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
শেষ পর্যন্ত দুই টাইগার স্পিনারের বোলিং তোপে ২৭৬ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ফলে ১৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
হারারে টেস্টে দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ওপেনার কাইতানোর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন জিম্বাবুইয়ান ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলর। দু’জনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ৩য় দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান তিনি।
দিনের শুরু থেকেই তাসকিন-এবাদত-সাকিবদের দিয়ে আক্রমণ চালান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। তবে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে আগানো টেইলরকে তিনি ফেরান বদলি ফিল্ডার ইয়াসির রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে। ৮১ রান করে আউট হন টেইলর।
অন্যপ্রান্তে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার কাইতানো। ৪ নম্বরে নামা মেয়ার্সের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২৭ রান করা মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর মারুমাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে, রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব। পরের ওভারেই তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রয় কাইয়া। মাত্র ৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
পঞ্চম উইকেট পতনের পর ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বাংলাদেশের হাতে। এরপর বল হাতে রীতিমত প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন সাকিব ও মিরাজ। একমাত্র উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভা (৩১*) ছাড়া বাকিরা শিকার হয়েছেন দুই স্পিনারের। ইনিংস শেষে মিরাজের ঝুলিতে গেছে ৫ উইকেট। সাকিব নিয়েছেন ৪টি আর বাকি উইকেট তাসকিনের দখলে।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ করেন ১৫০ রান। এ ছাড়া লিটন দাস ৯৫, তাসকিন আহমেদ ৭৫ ও মুমিনুল হক করেন ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নেন ডোনাল্ড তিরিপানো ও ভিক্টোর নায়ুচি। এছাড়া ১ উইকেট করে নেন রিচার্ড নাগারভা ও মিল্টন শুম্ভা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
এমএইচএম