ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

১০৮ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
১০৮ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবস্থা আরও লেজে-গোবরে। শুরুতেই দুই ওপেনারদের বিদায়, এরপর মাঝে কিছুটা লড়াই এবং শেষে রানের চাকা থমকে যাওয়া মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে মাত্র ১০৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারল বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের একাদশে আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা হাসান আলীকে বসিয়ে নেওয়া হয়েছে পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।

ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতির শুরু পায় বাংলাদেশ। শাহিন প্রথম ওভার থেকেই আগুন ঝরা বোলিং শুরু করেন। চতুর্থ বলে মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগ কোনোমতে এক রান নেন শেখ নাঈম। স্ট্রাইকে যান গত ম্যাচে অভিষিক্ত সাইফ। কিন্তু আজও তিনি ব্যর্থ। শাহিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তিনি গোল্ডেন ডাক মারেন। আম্পায়ার প্রথমে নট আউট ঘোষণা করলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম।

দ্রুত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন শান্ত ও আফিফ। দুজনে মিলে ভালো জুটিও গড়েন। কিন্তু এর মাঝেই শাহিন শাহ আফ্রিদির ফিরতি ওভারের দ্বিতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান আফিফ। বিষয়টি হজম করতে না পেরে পরের বল আফিফ ঠেকিয়ে দেওয়ার পর হাতে পেয়ে সজোরের ব্যাটারের দিক ছুটে মারেন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার।  

ওই সময় আফিফ স্ট্রাইকিং প্রান্তে ক্রিজের মাঝেই ছিলেন। ফলে আফ্রিদির থ্রো স্টাম্পে লাগলেও তিনি আউট হতেন না। বলের প্রচণ্ড আঘাতে আফিফ ব্যথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। মাঠে কিছুক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আফিফ সুস্থ হলে ফের খেলা শুরু হয়। পরের বলটিই তিনি স্কয়ার লেগ দিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। একেবারে যোগ্য জবাব যাকে বলে! তবে আফিফের ইনিংস থামে ২০ রানেই, শাদাব খানের বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ান ক্যাচ নেন।  

এরপর হতাশ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৬ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এলো মাত্র ১২ রান। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পাকিস্তানি পেসার হারিস রৌফের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। পরের ওভারে শাদাব খানের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে ব্যর্থ শান্ত আজ ফিরেছেন ৫ চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। দারুণ এই ইনিংস খেলার পথে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪৬ রান এবং মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত।

শান্ত বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশের রানের গতি কমতে শুরু করে। এক ওভার বিরতির পর বিদায় নেন মেহেদী হাসানও। আগের ম্যাচে ৩০ রান করা মেহেদী (৩) আজ মোহাম্মদ নওয়াজের বলে তুলে মারতে গেলে বল তার ব্যাটে লেগে বোলারের তালুবন্দি হয়। আগের ম্যাচে ২৮ রান করা নুরুল আজ থেমেছেন ১১ রানেই, শাহিনের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর শেষ ওভারে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও তাসকিন আহমেদ মিলে তোলেন মাত্র ৪ রান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।