ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আইপিএলে 'সাকিবকাণ্ড' ফেরালেন মোস্তাফিজদের অধিনায়ক পন্থ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
আইপিএলে 'সাকিবকাণ্ড' ফেরালেন মোস্তাফিজদের অধিনায়ক পন্থ

দারুণ খেলতে থাকা জস বাটলার চলমান আইপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করেই আসরের ৩৪তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৫ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো রাজস্থান।

তবে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলার সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ।

বিগত কয়েক বছরে ব্যাটিং এবং উইকেটকিপিংয়ের দৌলতে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। তবে শুক্রবারের রাতে তিনি যে মেজাজ দেখালেন সেই কারণে ইতিমধ্যেই তিনি সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। আসলে কোমরের উপরে আসা একটা ফুলটস ডেলিভারিতে 'নো বল' দেননি মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঋষভ। তিনি ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে মাঠে উপস্থিত দুই ব্যাটারকে হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দেন যে- আম্পায়ার এমন সিদ্ধান্ত যদি গ্রহণ করেন, তাহলে আর খেলার দরকার নেই। ফিরে আসাটাই মঙ্গলজনক হবে।

দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের একদম ফাইনাল ওভারে এই ঘটনার সাক্ষী থাকে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এই ম্যাচটা জিততে শেষ ওভারে দিল্লির ৩৬ রান দরকার ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল- এই লক্ষ্য অর্জন করা একদমই সম্ভব নয়। তবে রোভম্যান পাওয়েল কিছুটা হলেও আশা দেখিয়েছিলেন। প্রথম তিনটি বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ম্যাচের হাওয়া নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেন।

ওভারের তৃতীয় বলটা ছিল ফুল টস এবং কোমরের উপরে। যে কেউ এটাকে নো বল বলতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। কিন্তু মাঠে উপস্থিত আম্পায়াররা অবশ্য সেই রাস্তায় হাঁটলেন না। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ডেলিভারিতে কোনও অসুবিধা নেই। যদি আম্পায়াররা বলটাকে 'নো' বলে ঘোষণা করতেন তাহলে দিল্লির জয়ের হিসাবটা দাঁড়াত ৪ বলে ১৭ রান। সেই সঙ্গে পাওয়েল একটা ফ্রি হিটও পেতেন। তবে এদিন ওবেদ ম্যাকয়ের ভাগ্যটা কিছুটা হলেও ভালো ছিল। নো বল না ডাকায় তাঁকে আর অতিরিক্ত কোনও ডেলিভারি করতে হয়নি।

তবে ম্যাচের শেষে ঋষভ পন্থ কিন্তু স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন যে ব্যাপারটাকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিনি বলেন, আমি একথাই বলব যে গোটা ম্যাচে ওরা ভালো বোলিং করেছে। তবে শেষের দিকে পাওয়েলের কাছে একটা সুযোগ এসেছিল। আমার মতে ওই একটা নো বলই গোটা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারত। তবে সেটা তো আর আমার হাতে নেই। হ্যাঁ, এই সিদ্ধান্তে আমি সত্যিই খুব হতাশ। এর থেকে বেশি তো আমি আর কিছু করতেও পারব না। ডাগআউটে যারা ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই হতাশায় ভেঙে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অলিখিত সেমিফাইনালে অনেকটা এমন কাণ্ডই ঘটেছিল। নো বল নিয়ে ঝামেলা করার কারণে বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটারকে মাঠ ছেড়ে আসতে বলেছিলেন সেই সময়ের টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কী ঘটেছিল সেদিন?

ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা একই ওভারে টানা দুটি বাউন্সার ছোঁড়ার পরও ফিল্ড আম্পায়াররা নো বল এর সংকেত না দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাকিব। এরপরই তিনি দুই অপরাজিত টাইগার ব্যাটারকে মাঠ থেকে বের হয়ে আসতে বলেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার শুরু হয় ম্যাচ। পরের ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।