মুমিনুল হক সরে যাওয়ার পর অধিনায়ক করা হলো সাকিব আল হাসানকে। আশা ছিল এবার বোধ হয় টেস্টে কিছুটা হলেও উন্নতি করবে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগা টেস্টের পর সেন্ট লুসিয়াতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচের পর সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হলো, দলের ক্রিকেটাররা আসলে টেস্ট খেলতে কতটুকু মনোযোগী?
জবাবে তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের এখানে খুব বেশি দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। শুধু খেলোয়াড়দেরই দোষ দিলে হবে না। আমাদের দেশের সিস্টেমটাই কিন্তু এমন। আপনি কবে দেখছেন বাংলাদেশে ৩০ হাজার দর্শক টেস্ট ম্যাচ দেখছে বা ২৫ হাজার দর্শক মাঠে এসেছে টেস্ট দেখতে?’
কত কয়েকদিন ধরে নতুন করে আলোচনায় টেস্ট সংস্কৃতি। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন সেটা নেই বাংলাদেশে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পরামর্শ অস্থির না হওয়ার। সাকিব অবশ্য বিশ্বাস করেন, টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব।
এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘টেস্ট সংস্কৃতি নেই বলে যে হবেও না, সেটাও কিন্তু নয়। এই জিনিসটা পরিবর্তন করাই আমাদের বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা করে আগানো যায় তাহলেই হয়তো কিছু সম্ভব হবে। নইলে আসলে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের টেস্টের সংস্কৃতিই নেই। ’
বাংলাদেশের পরের টেস্ট ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে। মাঝের সময়টা কাজে লাগাবেন ব্যাটাররা, এমন বিশ্বাস থেকে সাকিব বলেছেন, ‘এই বিরতির মধ্যে যারা টেস্ট খেলতে আগ্রহী তারা হয়তো যার যার জায়গা থেকে উন্নতি করার চেষ্টা করবে। উন্নতি ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ’
‘আমাদের এমন কোনো সেটআপও নেই যাদের আনলে আমরা টেস্টে ভালো করে ফেলব। যারা আছি বা বাইরে আর যে দুই–চারজন আছে, সবাই মিলে যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা করে আগাতে পারি তাহলেই ভালো কিছু সম্ভব হবে। তা না হলে এতদিন ধরে যা হয়ে আসছে তা থেকে খুব বেশি একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম