মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। ওই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও ম্যাচ জিতে নেয় বলে অভিযোগ আছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ উইকেটের ৮টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। ঘরের মাঠে নিয়মিত তিন পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশও একাদশ সাজিয়েছিল কেবল দুই পেসার নিয়ে। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসান মিরাজরা। সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল তো বলেই দিলেন, গায়ানার উইকেট মিরপুরের চেয়েও খারাপ।
তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এসব উইকেটে ব্যাটারদের বিচার করা ঠিক না। বলা যায় মিরপুরের চেয়ে বাজে উইকেট। কারণ এই উইকেটে আপনি কখন কোন বলে আউট হয়ে যাবেন আগে থেকে বোঝা কঠিন। এর প্রতিচ্ছবি-তো দেখতেই পাচ্ছেন দুই ম্যাচেই, ১০০ আর ১৫০ রানের খেলায়। ’
এমন উইকেটেই দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন তামিম, লিটন দাসও ব্যাটিং করেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওয়ানডেতে তিন নম্বরে নেমে ৩৭ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ২০ রান করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তামিম বলেছেন, ‘এ জায়গায় আমি আসলে কাউকে বিচার করতে চাই না। কিন্তু যতক্ষণ ব্যাটিং করতেছে সে ভালো ব্যাটিং করছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমরা (তামিম-শান্ত) ৪৮ রানের দারুণ একটা পার্টনারশিপ করেছি। ৪৮ সংখ্যাটা দেখতে একটু ছোট লাগলেও এই উইকেট বিবেচনায় এটা ১০০ রানের সমতুল্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এমএইচবি/এআর