সিলেট থেকে: শুক্রবার ছুটির দিন। মানুষের ব্যস্ততা খুব একটা নেই।
এর মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ল গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকা। কৌতূহল কমাতে যেতে হলো তাদের কাছে। পাকিস্তানি কেউ হবেন, এমন ধারণা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু গ্যালারিতে গিয়ে জাগল বিস্ময়। স্পষ্ট বাংলায় কথা বলছেন তারা।
তাহলে কি বাঙালি কেউই ওড়াচ্ছেন পাকিস্তানি পতাকা? ভুল ভাঙালেন এরশাদ মাহবুব। তিনি জানালেন, পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে আছেন, তবে তারা কেউই বাঙালি নন। পাকিস্তানের পেশোয়ারে তাদের স্থায়ী নিবাস। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুবাদে এখানে তারা।
এরপর পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে আলাপ জমে উঠল। তাদের একজন হুসাইন আহমেদ বাংলায় বলতে শুরু করলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে আছি। কিন্তু কখনো পাকিস্তানের খেলা দেখা হয়নি। কারণ এখানে খেলাই হয়নি। এবার আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বিদেশের মাটিতে নিজের দেশকে সমর্থন দিতে পারার অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবো না। ’
এরপর জানা গেল চমকে দেওয়ার মতো আরও এক খবর। এই টুর্নামেন্টে এটাই তাদের দেখতে আসা প্রথম ম্যাচ নয়। বৃহস্পতিবারও মাঠে এসেছিলেন, কাকে সমর্থন দিতে ধারণা করতে পারবেন? বাংলাদেশ। সামনেও এসে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবেন, দিয়েছেন এমন খবর।
মোকাদ্দেস হোসেন নামে পাকিস্তানি আরেক ভক্তের মনে উচ্ছ্বাস। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর তাদের সঙ্গে দেখা হবে বিসমাহ মারুফদের। কথাবার্তা এমনভাবেই পাকা হয়ে আছে। এখন ম্যাচ শেষের অপেক্ষা।
রোমাঞ্চের চোরাবালিতে হাবুডুবু খাওয়া পাকিস্তানের এসব সমর্থকদের দেখা হওয়ার পর অনুভূতি কেমন হবে, আন্দাজ করা যায়। হাজার কিলোমিটার দূরে এসেও অঙ্কটা মিলিয়ে দেয় বলেই হয়তো ‘খেলা’ ব্যাপারটা সবকিছুর চেয়ে আলাদা। বিনোদনের চেয়েও বেশি কিছু!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩, অক্টোবর ৭, ২০২২
এমএইচবি