চট্টগ্রাম: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপদ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চট্টগ্রাম বিভাগে সদ্য চালু হওয়া সড়কগুলো পাহাড়ের সঙ্গে গড়ে দিয়েছে সমতলের মিতালি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম এর তথ্যানুযায়ী, উন্নয়নকৃত মহাসড়কের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ২৫৮.৯০ কিলোমিটার।
দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক থেকে পুরাতন ব্রিজঘাট ফেরিঘাট সড়ক-বিএফডিসি সড়ক হয়ে বিএফডিসি ভেতর দিয়ে বিএফডিসির পিছনের সড়ক হয়ে বাংলা বাজার, আরবান আলী সড়ক পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে মইজ্জারটেক থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক ২৪ ফুট করে প্রশস্ত হয়েছে। বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হয়েছে ১৮ ফুট করে। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
রাউজান-ব্রাহ্মণছড়ি সড়ক (শহীদ জাফর সড়ক) উপজেলা সদরের ডাক বাংলো থেকে শুরু হয়ে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বর্মাছড়ির সাথে মিলিত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়। এছাড়া মইজ্জারটেক থেকে ১৬ কিলোমিটার বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক, ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বীরকন্যা প্রীতিলতার বাড়ির পাশে নবনির্মিত ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রীতিলতা সড়ক চালু হওয়ায় অবদান রাখবে পর্যটন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে অনেক রাস্তা মাত্র ৩.৫ মিটার চওড়া ছিলো, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়েছিলো। বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে রাস্তাগুলোর বেশিরভাগই ৫.৫ মিটার বা তার বেশি প্রশস্ত করা হয়েছে। উন্নয়ন কাজের ফলে এসব সড়কের স্থায়িত্ব বেড়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কমে আসবে।
দোহাজারি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে উদ্বোধন হওয়া তিনটি সড়কের মাধ্যমে পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা এবং শহরের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেন, সংস্কারকৃত রাস্তাগুলো যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এতে শহরের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ সহজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসি/টিসি